নিজস্ব প্রতিবেদন, হুগলিn সারা হুগলি জেলাজুড়ে গ্রাম পঞ্চায়েতে দেড় হাজারেও বেশি আসনে অতিরিক্ত মনোনয়ন জমা পড়ল তৃণমূলে, এমনটাই জানাচ্ছে প্রশাসন সূত্রে। হুগলি জেলায় গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রায় দেড় হাজার, পঞ্চায়েত সমিতিতে আড়াই শো’র বেশি আসনে অতিরিক্ত প্রার্থী মনোনয়ন জমা করল তৃণমূল। বিজেপি বলছে, এইতো নবজোয়ার, তৃণমূলের দাবি যারা প্রতীক পাবে তারাই দলের প্রার্থী, বাকিরা প্রত্যাহার করবে। জানা গিয়েছে, হুগলি জেলায় ২০৭ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩৮৮০ টি আসন। ১৮ টি পঞ্চায়েত সমিতির ৬১৯ টি আসন। জেলা পরিষদের আসন ৫৩ টি। তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন দিয়েছেন পঞ্চায়েতে ৫৪৩৯ জন, সমিতিতে ৮৭০ জন এবং জেলা পরিষদে ৫৭ জন। অপরদিকে সিপিআইএমের পক্ষ থেকে পঞ্চায়েতে ৩৬১১ জন, সমিতিতে ৬৮৫ জন এবং জেলা পরিষদে ৫৭ জন। পাশাপাশি বিজেপি মনোনয়ন করেছে পঞ্চায়েতে ৩৪১৭ টি, সমিতিতে ৬২৪ টি এবং জেলা পরিষদে ৫৮ টি। মনোনয়ন জমা শেষ হওয়ার পর নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনে বিজেপি চারশোর কিছু বেশি আসনে মনোনয়ন করতে পারেনি। তবে সমিতিতে ৫ টি বেশি প্রার্থী মনোনয়ন করেছে। জেলা পরিষদেও পাঁচজন অতিরিক্ত মনোনয়ন জমা করেছেন। তৃণমূল অবশ্য শেষ দিনে যা মনোনয়ন জমা দিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে গ্রাম পঞ্চায়েতে দেড়হাজার বেশি প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছে। সমিতিতেও আড়াইশো প্রার্থী বেশি। জেলা পরিষদে চারজন। এই বিষয়ে বিজেপি নেতৃত্বের কটাক্ষ তৃণমূল নিজেদের মধ্যেই মারামারি খুনোখুনি না আরম্ভ হয়। হাইকোর্ট বলে দিয়েছে বাহিনী দিয়ে ভোট করতে হবে তাতে এত ভয় কেন। গণতন্ত্রকে কবরে পাঠিয়ে এখনই তৃণমূল কিছু জায়গায় আবির নিয়ে নাচছে। এখনো নির্বাচন শেষ হল না। বাংলার মানুষ এর জবাব দেবে। তৃণমূলের হুগলি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁই বলেন, অনেকেরই আশা থাকে যে তারা প্রার্থী হবে তাই মনোনয়ন জমা দিয়েছে। তবে প্রতীক তারাই পাবে যাদের নামে তালিকা বেরিয়েছে। যাদের নাম নেই তালিকায় অথচ ডিসিআর কেটেছে তারা নাম প্রত্যাহার করে নেবে। যারা নমিনেশন করেছে তারা দলের একনিষ্ঠ কর্মী। দলের কথা নিশ্চয়ই তারা মেনে চলবে। সবমিলিয়ে তৃণমূলের এত অতিরিক্ত মনোময়ন চরম অস্বস্তিতে ফেলেছে তৃণমূল নেতৃত্বকে।