শুভাশিস বিশ্বাস
গুজরাতের নির্বাচনে এবার পুরো ফোকাস কেড়ে নিয়েছে মোরবি। কারণ, বিধানসভা নির্বাচনের আগে ব্রিজ ভেঙে পড়ার ঘটনায় নড়েচড়ে বসে সারা দেশ। যার প্রভাব পড়েছে গুজরাতের রাজনীতিতেও। বিপক্ষের হাতে যেন একেবারে হঠাৎ-ই হাতে এসে গেছে বিজেপিকে বধ করার এক বড় অস্ত্র। আর এই ঘটনা উস্কে দিয়েছে ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের আগে পোস্তায় ব্রিজ ভেঙে পড়ার ঘটনা। এই ঘটনায় অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন জো়ড়াসাঁকো কেন্দ্রটি হাত ছড়া হতে চলেছে তৃণমূলের। তবে ফল প্রকাশের পর দেখা গিয়েছিল এই ব্রিজ ভেঙে পড়ার কোনও ডিভিডেন্ড ভোট বাক্সে পায়নি বিজেপি। এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্য গুজরাতেও ঠিক একই ঘটনা। ফলে ২০২২-এ সবার নজর কাড়ছে মোরবি বিধানসভা।
তবে এতদিন পর্যন্ত গুজরাতের রাজনৈতিক ট্র্যাডিশন যা বলে তাতে মূল লড়াই হয়েছে মূলত কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে। তবে এবারের নির্বাচনে তৃতীয় শক্তি হিসেবে উদয় হয়েছে আপ। কারণ, এই ঝুলন্ত সেতু ভেঙে গিয়ে প্রাণ হারান ১৩০ জনেরও বেশি মানুষ। আর এখানেই গুজরাত প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রশ্ন ওঠে, সেতুটি সংস্কারের কাজ কেন দেওযা হয়েছিল এক ঘড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থাকে। পাশাপাশি এ প্রশ্নও ওঠে, সংশ্লিষ্ট পুরসভার ফিট সার্টিফিকেট পাওয়ার আগেই কীভাবে সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয় এই ঝুলন্ত সেতু। তাও আবার ছট পুজোর দিন। যেখানে এই ছট পুজো উপলক্ষে এই ব্রিজের ওপর ভিড় জমাতে পারেন পর্যটকেরা এমন সম্ভাবনা ছিল প্রবল। বাস্তবে ঘটেও তাই। আর এই ধরনের একাধিক ইস্যুতে কংগ্রেস ও আপ সরাসরি গুজরাতে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়েও আসে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারনা, গুজরাতে নির্বাচনের আগে এই সেতু ভাঙার ঘটনা নিঃসন্দেহে একটা বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে। তবে আশ্চর্যের ব্যাপার হল, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষ ক্ষোভ উগরে দিলেও পাশাপাশি এটাও তাঁরা মনে করছেন, গুজরাতে সপ্তমবারের জন্য সরকার গঠন করবে বিজেপিই। আর তা ধরাও পড়েছে নানা প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষাতেও।