অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান। রিমলের টানে আগাম বর্ষা দেশে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস ছিল ৩১ মে একদিন আগে বর্ষা ঢুকতে পারে কেরলে। বৃহস্পতিবার ভারতীয় মূল ভূখণ্ডের কেরলে পৌঁছল দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। ঘূর্ণিঝড় চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বর্ষারও গতি বাড়ে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু আরও একদিন আগে অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ের দু দিন আগে কেরলে ঢুকে পড়ল। এর আগে আন্দামানে তিনদিন আগে প্রবেশ করে বর্ষা। ১৯ মে আন্দামানে ঢুকেছিল বর্ষা। তবে কেরলে পৌঁছলেও বাংলায় এখনও বর্ষা পৌঁছানোর পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। ভারতের মৌসম ভবনের অনুমান বাংলাতেও নির্ধারিত সময়ের আগেই ঢুকবে বর্ষা।
উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে ৫ জুন প্রবেশ করে বর্ষা। তার থেকে ৭ দিন আগে বর্ষা ঢুকে পড়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের কিছু অংশে। আবহবিদদের অনুমান, বাংলায় বর্ষা প্রথম প্রবেশ করবে জলপাইগুড়িতে ৭ জুন, শিলিগুড়িতে ৮ জুন, এবং কলকাতায় ১১ জুন।
এদিকে আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে উত্তরবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের প্রবল সম্ভাবনা বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। কারণ, কেরলের সঙ্গে সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে ঢুকে পড়েছে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। এদিকে বর্ষা প্রবেশের আগেও উত্তরবঙ্গে আগামী রবিবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। পাহাড়ের পাশাপাশি সমতলের একাধিক জেলাতেও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কারণ উত্তরপ্রদেশ থেকে এ রাজ্যের উপর দিয়ে পশ্চিম বাংলাদেশ পর্যন্ত একটি অক্ষরেখা বিস্তৃত। তার জেরেই উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
শুক্রবার কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ির একাধিক অংশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। শনি ও রবিবার ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কালিম্পং এবং উত্তর দিনাজপুরে।
উত্তরবঙ্গবাসীর মুখে হাসি ফুটলেও আপাতত দক্ষিণের জন্য কোনও স্বস্তির সংবাদ নেই৷ কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য অংশে আগামী কিছু দিন ভ্যাপসা গরমই থাকবে বলে পূর্বাভাস আবহবিদদের। ভ্যাপসা গরমের সঙ্গী হবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও৷ তাই কেরলে বর্ষার পদধ্বনি শোনা গেলেও আপাতত দক্ষিণবঙ্গ অস্বস্তিকর গরমের আওতা থেকে বেরতে পারছে না।