কেরলে দেরিতে ঢুকছে বর্ষা, প্রভাব বঙ্গে পড়বে কি না শুরু জল্পনা

এখনও বর্ষা দূর-অস্ত। মঙ্গলবার মৌসম ভবন সূত্রে জানানো হয়েছে, এবছর কেরলে দেরিতে ঢুকবে বর্ষা। আর এখানেই প্রশ্ন, তাহলে বাংলাতেও বর্ষা আসতে দেরি হবে কি না তা নিয়েও। এব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কিছু জানায়নি আবহাওয়া দপ্তর। তবে আবহবিদদের বক্তব্য, কেরলে বর্ষা ঢুকতে দেরি হলে যে বাংলাতেও যে দেরি হবে, এমন কোনও সরাসরি সম্পর্ক নেই। সাধারণভাবে গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান দেখলে দেখা যাবে, কেরল হয়েই বাংলায় ঢোকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। ফলে কেরলে বর্ষা ঢুকতে দেরি হলে বাংলাতেও দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু ঢুকতে নির্ধারিত সময়ের থেকে আরও কয়েকদিন দেরি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
মৌসম ভবন সূত্রে খবর, সাধারণত ১ জুন কেরলে পৌঁছয় মৌসুমি বায়ু। তার সঙ্গে সঙ্গেই বর্ষা ঢোকে কেরলে। তবে এবার আগামী ৪ জুন কেরলে ঢুকতে পারে বর্ষা। অর্থাৎ এবছর নির্ধারিত সময়ের থেকে দিন তিনেক দেরিতে ঢুকবে বর্ষা। গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান দেখলে দেখা যায়, গত বছর নির্ধারিত সময়ের আগেই কেরলে বর্ষা ঢুকেছিল। তার আগে দু-বছর নির্ধারিত সময়ের আশপাশেই কেরলে বর্ষা ঢুকেছে। ২০১৯ সালে বর্ষা ঢুকতে অনেকটা দেরি হয়েছিল।
মৌসম ভবনের পূর্বাভাস যা বলছে তাতে এবছর যদি ৪ জুন কেরলে বর্ষা ঢোকে, তাহলে তা গত বছরের তুলনায় খানিক দেরিতে এবার বাংলাতেও বর্ষা ঢুকতে দেরি হবে কিনা তা এখনই স্পষ্ট নয়। বাংলায় সাধারণত বর্ষা ঢোকার সময় ১১ জুনের মধ্যে। এখনও পর্যন্ত আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী ৭ জুন জলপাইগুড়ি, ৮ জুন শিলিগুড়ি, ১০ জুন সুন্দরবন এবং ১১ জুন কলকাতায় বর্ষা ঢুকতে পারে। তবে সেই সময় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু কতটা সক্রিয় থাকে, তার উপরই বর্ষা ঢোকার বিষয়টি নির্ভর করছেষ ফলে এবার কবে বাংলায় বর্ষা ঢোকে, সেটাই দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

8 − 2 =