ইডি-র কড়া নজরে সুকন্যার অ্যাকাউন্ট, টাকা এসেছে বিদেশি ব্যাঙ্ক থেকেও

একদিকে দিল্লিতে ইডি-র জেরা মুখে বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এদিকে কলকাতাতেও ইডি-র আধিকারিকেরা মোটেই হাত গুটিয়ে বসে নেই। ইডি-র তরফ থেকে যে খব মিলেছে তাতে বিদেশি ব্যাঙ্কের সঙ্গে অনুব্রত কন্যার যোগ পেয়েছেন ইডি-র আধিকারিকেরা। ইডি-র তরফ থেকে জানানো হয়েছে, একাধিক বিদেশি ব্যাঙ্ক থেকে বিপুল অর্থ ঢুকেছে কেষ্ট কন্যার কোম্পানিতে। কিন্তু কীভাবে ঢুকেছে সেই অর্থ, কার মাধ্যমেই বা সেই অর্থের লেনদেন করা হত এই সকল প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজতে মরিয়া ইডি। অর্থাৎ, এখন আর শুধু অনুব্রত নন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী গোয়েন্দাদের নজরে এখন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের সম্পত্তিও।

ইডি-র তরফ থেকে এ খবরও মিলছে, সুকন্যার মোট দু’টি কোম্পানি নাম জানতে পেরেছে ইডি। একটি হল নীড় ডেভেলপার প্রাইভেট লিমিটেড এবং অপরটি এএনএম  অ্যাগ্রোকেম ফুডস প্রাইভেট লিমিটেড। এই দুই কোম্পানির অ্যাকাউন্টে বিদেশি বিপুল পরিমাণ অর্থ স্থানান্তরিত হয়েছে বলে সন্দেহ করছেন ইডি আধিকারিকরা। এই সকল চুক্তির ব্যাপারে অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি।

এদিকে ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে অনুব্রতর দেহরক্ষীর ‘প্রোটেকশন মানি’-র তত্ত্ব। ইডি-র কাছে এ খবরও রয়েছে, গরু পাচারের উপর মাসে কমিশন নিতেন কেষ্ট। আর সেই টাকা জমা পড়ত ছায়াসঙ্গী সায়গল হোসেনের কাছে। আর এখানেই ইডি-র আধিকারিকদের বদ্ধমূল ধারনা, কমিশনের টাকাতেই নাকি নিজের ও পরিবারের নামে রাইস মিল, জমি, বাড়ি কিনেছিলেন বীরভূমের এই তৃণমূল নেতা। ইডির দাবি, ২০১৫ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে কেষ্টর বিপুল সম্পত্তির বৃদ্ধি হয়েছে। এছাড়াও প্রশ্ন উঠেছে প্রাক্তন ব্যাঙ্ক কর্মীকে ছ’কোটি টাকা কেন দিয়েছিলেন কেষ্ট তা নিয়েও। এছাড়াও মলয় পিটের এনজিও-তেও বিনিয়োগ করেছেন অনুব্রত,এমন তথ্যও সামনে এসেছে। এমনকী পেট্রল পাম্প চালুর জন্যও অর্থ ব্যয় করেছিলেন তিনি, এমনটাই ইডি সূত্রে খবর। অনুব্রতর স্ত্রীর ক্যান্সার চিকিৎসার দিকেও নজর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের। তবে ১৮ কোটি ফিক্সড ডিপোজিটের উৎস সম্পর্কে এখনও মুখে কুলুপ অনুব্রতর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − fifteen =