ইস্টবেঙ্গলের হোম ম্যাচে মোহনবাগানের দাপুটে জয়

ইস্টবেঙ্গলের হোম ম্যাচে ৩-১ জয় মোহনবাগানের। এ মরসুমে মোহনবাগানকে দু-বার হারিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ইতিহাসে কখনও ডার্বি হারেনি মোহনবাগান। ধারা বজায় থাকল। প্রথমার্ধেই ৩-০ এগিয়ে যায় সবুজ মেরুন। দ্বিতীয়ার্ধে সাউল ক্রেসপো ১ গোলের ব্যবধান কমান। তবে দুই অর্ধে দুই দলের মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন। প্রথমার্ধে একতরফা দাপট মোহনবাগানের। দ্বিতীয়ার্ধে মরিয়া চেষ্টা করে ইস্টবেঙ্গল। একঝাঁক সুযোগও তৈরি হয়। যদিও ম্যাচের ফল বদলানোর জন্য তা যথেষ্ঠ ছিল না।

একটা পেনাল্টি সুযোগ হারালে তার ফল কী হতে পারে! ইস্টবেঙ্গল খুব ভালো ভাবে টের পেল। বড় ম্যাচ। সমর্থকদের কী প্রত্যাশা থাকতে পারে, আলাদা করে বোঝানোর প্রয়োজন পড়ে না। শুরু থেকে মোহনবাগানের হাইপ্রেসিং ফুটবল। ক্রমশ নিজেদের গুছিয়ে নেয় ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু তার সুযোগ তুলতে পারল কই! উল্টে প্রথমার্ধেই ৩-০ এগিয়ে যায় মোহনবাগান। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ডার্বিতে এখনও অবধি এটিই সবচেয়ে বড় ব্যবধান। প্রথমার্ধেই ৩ গোল দেওয়ায় স্কোর লাইন বাড়ার সম্ভাবনা ছিল।

দ্বিতীয়ার্ধে যেন নতুন ইস্টবেঙ্গল! দুই তরুণ ফুটবলার বিষ্ণু এবং সায়ন ব্যানার্জিকে পরিবর্ত হিসেবে নামান কার্লেস কুয়াদ্রাত। মানসিকতা, শরীরীভাষায় বিরাট পরিবর্তন ইস্টবেঙ্গলের। ৫৩ মিনিটে সাউল ক্রেসপোর গোল তারই পুরস্কার। শেষ দিকে পেনাল্টি পেতে পারত ইস্টবেঙ্গল। রেফারির ভুল সিদ্ধান্তে বঞ্চিত হয় ইস্টবেঙ্গল। নয়তো স্কোর লাইন ৩-২ হতে পারত। এই জয়ে আইএসএল পয়েন্ট টেবলে শীর্ষে উঠে এল মোহনবাগান।

ইন্ডিয়ান সুপার লিগে রেফারিং নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন সভাপতিও রেফারিদের বার্তা দিয়েছেন। তাতেও পরিস্থিতি বদলায়নি। ডার্বিতে একঝাঁক কার্ড। ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতকেও কার্ড দেখানো হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten − three =