বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে মোহনবাগানের পরিসংখ্যান বরাবরই ভালো। কিন্তু এ বার চূড়ান্ত হতাশা। ঘরের মাঠে মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে আইএসএল অভিযান শুরু করেছিল মোহনবাগান। ২-০ এগিয়ে থেকেও ড্র করে মাঠ ছাড়ে। অবশেষে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে গত ম্যাচে জয়। তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়লেও চিন্তা ছিল ডিফেন্স। প্রথম দু-ম্যাচে চার গোল হজম। বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে তিন গোল। সুনীল ছেত্রীদের বিরুদ্ধে ০-৩ ব্যবধানে হার মোহনবাগানের। ডিফেন্স নিয়ে প্রশ্ন থাকলোই।
সুনীলদের বিরুদ্ধে নামার আগে মোহনবাগান কোচ হোসে মোলিনা পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন, আক্রমণাত্মক ফুটবল থেকে পিছু হটবে না তাঁর দল। হোম হোক বা অ্যাওয়ে, খেলার স্টাইল পাল্টাবে না। খেলার স্টাইল পাল্টায়নি মোহনবাগান, ফল যদিও পাল্টে গিয়েছে। শুরু থেকেই ব্যাকফুটে ছিল মোহনবাগান। ম্যাচের মাত্র ৯ মিনিটে ভাসানো কর্নার হেডে নামান নিখিল পূজারী। এডগার মেন্ডেজ বলকে দিশা দেখান। ওয়ান বাউন্সে মোহনবাগানের জালে বল। ডিফেন্সের ভুলেই পিছিয়ে পড়ে মোহনবাগান।
এই অস্বস্তি কাটতে না কাটতেই আরও একটা। ১১ মিনিটের ব্যবধানে আরও এক গোল বেঙ্গালুরু এফসির! এডগার মেন্ডেজের পাস বক্সে থাকা সুনীল ছেত্রীকে। যদিও তিনি মার্কড ছিলেন। ফলে শট না মেরে সেট করেন। ব্যাক পাস করেন তরুণ স্ট্রাইকারকে। সুরেশ ওয়াংজ্যাম এমন সুযোগ মিস করেনননি। ২-০ লিড নেয় বেঙ্গালুরু এফসি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পেনাল্টি পায় বেঙ্গালুরু এফসি। ৫১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল ভারতীয় ফুটবলের লেজেন্ড সুনীল ছেত্রীর।
বিশাল কাইথ দুর্দান্ত সেভ না করলে ইনজুরি টাইমে আরও একটা গোল হজম করতে হত সবুজ মেরুনকে। এরপর এএফসির ম্যাচ রয়েছে মোহনবাগানের। তার আগে এই ফল, বেশ চাপে রাখবে মোলিনাকে।