ডার্বির আগে টানা দ্বিতীয় জয় মোহনবাগানের

পাঁচ গোল দিয়ে ডুরান্ড অভিযান শুরু করেছিল মোহনবাগান। দ্বিতীয় ম্যাচে পঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধে ২-০ ব্যবধানে জয়। গত ম্যাচের প্রথম একাদশে নানা পরিবর্তন হয়েছে। তেমনই টেকনিকাল এরিয়ায়ও। কলকাতা লিগে কোচিং করাচ্ছেন বাস্তব রায়। ডুরান্ডের প্রথম ম্যাচেও সহকারী কোচ বাস্তবই দায়িত্বে ছিলেন। মরসুমে প্রথম বার মোহনবাগান বেঞ্চে হুয়ান ফেরান্দো। ডার্বির প্রস্তুতিও অনেকটা সেরে নিল মোহনবাগান। প্রথম ম্যাচে মূলত তরুণ দল নামিয়েছিল মোহনবাগান। তা নিয়েই বাংলাদেশ আর্মি ফুটবল টিমের বিরুদ্ধে ৫-০ জয়। এ দিন প্রথম একাদশে বিদেশি ফুটবলারও রাখলেন ফেরান্দো। ডার্বির কথা ভেঙেই এমন সিদ্ধান্ত। ব্রেন্ডন হ্যামিলের সঙ্গে সেন্ট্রাল ডিফেন্সে আনোয়ার আলি। মোহনবাগানে অভিষেক হল জাতীয় দলের নির্ভরযোগ্য তরুণ ডিফেন্ডার আনোয়ারের। তেমনই মিডফিল্ডে আর এক বিদেশি হুগো বোমাস। পরিবর্ত হিসেবে নামানো হয় গত মরসুমে মোহনবাগানের অন্যতম নায়ক দিমিত্রি পেত্রাতোস। বৃষ্টিতে মাঠ ভেজা। তাই চোটের ঝুঁকিও ছিল। সতর্ক হয়েই খেলায় মন দিলেন। মোহনবাগান লিড নেয় আত্মঘাতী গোলে। ম্যাচের ২৩ মিনিটে ডান দিক থেকে আক্রমণে ওঠেন মনবীর সিং। অনবদ্য একটা শটও নেন। সুহেল এগিয়ে আসছিলেন। পা ছোঁয়ালেই গোল। তবে সুহেলকে দেখে তাড়াহুড়ো করে ফেলেন পঞ্জাব এফসি ডিফেন্ডার মেলরয়। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়ান। প্রথমার্ধের শেষ দিকে ওয়ার্ম আপ শুরু করেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। তাঁর নামা ছিল সময়ের অপেক্ষা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পেত্রাতোসকে নামান ফেরান্দো। লিস্টন ও পেত্রাতোসের যুগলবন্দিতে গোলের মুভ তৈরি হয়। লিস্টন-পেত্রাতোস ওয়াল খেলেন। বাঁ দিক থেকে সেন্টার তোলেন লিস্টন। পঞ্জাব এফসি গোলকিপার ফ্লাইট মিস করেন, তাঁর গ্লাভসের মাথায় লেগে বক্সেই পড়ে বল। ফিরতি বলে গোল হুগো বোমাসের। ৪৮ মিনিটে ২-০ এগিয়ে যায় মোহনবাগান। শেষ ১০ মিনিটে আরও বেশ কিছু গোলের পরিস্থিতি তৈরি হয়। যদিও স্কোরলাইন বাড়েনি। ডুরান্ডে দু-ম্যাচেই ক্লিনশিট রেখে জয়, ডার্বির আগে মোহনবাগানকে বেশ খানিকটা এগিয়ে রাখবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven + fifteen =