চ্যাম্পিয়ন টিমের জন্য হোম আর অ্যাওয়ে ম্যাচ আলাদা কোনও মানে রাখে কি? চেন্নাইয়ের মাঠে মোহনবাগানের পারফরম্যান্স দেখে অবশ্য বলা যায় না। গত বারের চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। এ মরসুমে ডুরান্ড কাপও জিতেছে তারা। এএফসি কাপে দুর্নত ফর্মে। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে ঘরের মাঠে দু-ম্যাচেই জিতেছে। মরসুমের প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচে মাঠের বাইরে অনেকেই ‘চাপে’ ছিলেন। সবুজ মেরুন ফুটবলারদের দেখে কোনও চাপে রয়েছেন বলে মনে হয়নি। বরং চেন্নাইয়ের ডেরায় পুরো ম্যাচে দাপট দেখালেন তারাই। ম্যাচের ১৮ মিনিটে পেত্রাতোসের অনবদ্য ক্রস, ফাঁকায় পেয়েছিলেন সাহাল আব্দুল সামাদ। যদিও গোলে শট রাখতে পারলেন না। মোহনবাগানের জন্য ম্যাচের এই সময় অবধি সেরা সুযোগ বলাই যায়। সাহাল এমন সুযোগ নষ্ট করলেও, এরপর সুযোগ তৈরি করে দিলেন সতীর্থদের। ২২ মিনিটেই চেন্নায়িন দুর্গে বড় আঘাত মোহনবাগানের। দিমিত্রি পেত্রাতোস-সাহাল আব্দুল জুটি। সাহালের অনবদ্য ক্রস, দিমি পেত্রাতোসের জোরালো হেড। ১-০ লিড নেয় মোহনবাগান। ঘরের মাঠে পিছিয়ে পড়ায় চাপ বাড়ে চেন্নাইয়ের। গোল পেতেই আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে দুরন্ত ছন্দে থাকা মোহনবাগান। একের পর এক আক্রমণ। একটি গোললাইন সেভও হয়। মোহনবাগানের লিড বাড়ানো যেন সময়ের অপেক্ষা ছিল। গোল ‘কামিং আপ’ এর অপেক্ষা মিটল কামিংসের গোলে। প্রথমার্ধের অ্যাডেড টাইমে চেন্নাই রক্ষণে আটকা পড়েছিলেন সাহাল। হালকা টোকায় বল রিলিজ করেন সাহাল। সেখান থেকে গোল করতে কোনও ভুল করেননি বিশ্বকাপার জেসন কামিংস। চেন্নাইয়ের গ্যালারিতে মোহনবাগান গর্জন। দ্বিতীয়ার্ধে চেন্নাই একটি গোল শোধ করে। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান যেন জবাব তৈরিই রেখেছিল। দ্রুতই ৩-১ করে মোহনবাগান। সাহালের নিখুঁত পাসে মনবীরের গোল। এই পাসে গোল না করাটাই যেন চমক হত। জয়ের হ্যাটট্রিক করেই বিরতিতে যাচ্ছে সবুজ মেরুন।