লিগে প্রথম হার মোহনবাগানের; গ্যালারিতে অসুস্থ সমর্থক

সুহেল ভাট, কিয়ান নাসিরি। এই দু-জনের কথা আলাদা করে বলতে হয়। কিয়ান সিনিয়র দলের ফুটবলার। বড় ম্যাচে হ্যাটট্রিক রয়েছে। সুহেল ভাট উঠতি তারকা। এ বারের কলকাতা লিগে অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স সুহেলের। যদিও সাদার্নের বিরুদ্ধে পরিস্থিতি তাঁদের পক্ষে গেল না। বেশ কয়েক ম্যাচ আগে ঘরের মাঠে জিতেও মোহনবাগান কোচ বাস্তব রায় রক্ষণ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। পরিষ্কার জানিয়েছিলেন, ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে, রক্ষণ ভাগকে আরও উন্নতি করতে হবে। সতর্কবার্তা আগেই ছিল। এ বার নিজেদের মাঠে হতাশার ফল মোহনবাগানের। গোল দুটির ক্ষেত্রে সৌগতর কৃতিত্ব যতটা, তেমনই মোহনবাগান রক্ষণের ব্যর্থতাও। এ বারের লিগে অপরাজিত তকমা ধরে রাখতে পারল না মোহনবাগান। সাদার্ন সমিতির কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্য। ময়দানের অন্যতম ক্ষুরধার মস্তিষ্ক। বাংলা দলেরও কোচিং করিয়েছেন। মোহনবাগানের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে নামার আগে প্রবল চাপে ছিলেন। তিনিই জানিয়েছিলেন, চোট এবং কার্ড সমস্যায় দলের বেশ কয়েকজন ফুটবলার নেই। বিশেষ করে রক্ষণ ভাগে। যারা ছিল তাদের দিয়েই ‘কাজ চালানোর’ পরিকল্পনা ছিল রঞ্জনের। এই দল নিয়েও মোহনবাগানের বিরুদ্ধে এমন দাপট দেখাবে সাদার্ন সমিতি, এমনটা হয়তো প্রত্যাশা করেননি খোদ কোচও। তাঁর প্রত্যাশার চেয়েও ভালো পারফরম্যান্স সাদার্ন সমিতির। মোহনবাগানের ঘরের মাঠেই ২-০ ব্যবধানে জয় সাদার্নের। ছন্নছাড়া ফুটবলে সমর্থকরা প্রবল হতাশ ছিলেন। তার মধ্যে প্লেয়াররা মেজাজ হারানোয় সমর্থকদের হতাশা আরও বাড়ে। পারফরম্যান্স ভালো হলে সমর্থকরা যেমন মাথায় তুলে রাখবেন, তেমনই উল্টোটাও। মোহনবাগান মাঠে সেটাই হল। ম্যাচের সময় যত কমতে থাকল মেজাজ হারালেন সমর্থকরা। মাঠে বোতল ছুঁড়তে থাকেন মোহনবাগান সমর্থকরা। এ দিনের হারে সুপার সিক্সের রাস্তা কঠিন হল মোহনবাগানের। ম্যাচের মাঝে গ্যালারিতেও আতঙ্ক ছড়ায়। মোহনবাগানের এক প্রবীণ সমর্থক হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন। মোহনবাগান-সাদার্ন সমিতি ম্যাচ চলাকালীন গ্যালারিতে আচমকাই অচৈতন্য হয়ে পড়েন ওই সমর্থক। এরপরই বাংলা ফুটবল সংস্থার উদ্যোগে তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রবীণ সেই সমর্থকের নাম অমর বোস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − 2 =