লিগে দু-বার এগিয়ে থেকেও ড্র মোহনবাগানের

আলাদা টুর্নামেন্ট, প্লেয়ারও আলাদা। কিন্তু দলটা তো মোহনবাগান। সাফল্য, ব্য়র্থতার রেশ দীর্ঘস্থায়ী হয়। গত শনিবার ছিল মরসুমের প্রথম বড় ম্যাচ। টানা আটটি ডার্বি জয়ের পর অপ্রত্যাশিত হার। সেই রেশ যেন পড়ল তরুণ দলের ওপরও। কলকাতা লিগে এ দিন আর্মি রেডের বিরুদ্ধে নেমেছিল মোহনবাগান। দু-বার এগিয়ে থেকেও ম্যাচ ড্র। এ বারের লিগে অনবদ্য পারফর্ম করছে সবুজ মেরুন। আত্মবিশ্বাসে হয়তো চিড় ধরেছিল ডার্বি হেরে। আর্মির বিরুদ্ধে ফুল পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়া হল না। ম্যাচের ২১ মিনিটে বিয়ানের গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। প্রতিপক্ষ রক্ষণের ভুলের সুযোগ নিতে ছাড়েননি। হেডে গোল করেন বিয়ান। প্রথমার্ধে আর কোনও গোল হয়নি। এক গোলের লিড অনেক ক্ষেত্রেই অস্বস্তিতে রাখে। সবুজ মেরুনের ক্ষেত্রেও অন্যথা ছিল না। এক গোলের লিড যে কোনও সময়ই সমান হয়ে যেতে পারে, তা বুঝতে বেশি সময় লাগেনি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতা ফেরায় আর্মি রেড। কর্নার থেকে মোহনবাগান বক্সে সেন্টার। প্রথমে একটি শট গোলরক্ষক আটকে দেন। বক্সের মধ্যে ফুটবলারদের ভিড়। ফিরতি বলে গোল করে আর্মি রেডের হয়ে সমতা ফেরান সুখপ্রীত সিং। ঘুরে দাঁড়াতে বেশি সময় লাগেনি। ৫৯ মিনিটে মোহনবাগান ফের এগিয়ে যায়। ডান প্রান্ত থেকে উঠছিলেন হামতে। তাঁর বাড়ানো বলে ভলিতে গোল কিয়ান নাসিরির। ৭৯ মিনিটে টাইসনের সেন্টারে অনবদ্য একটা গোলের সুযোগ ছিল মোহনবাগানের। যদিও ফিনিশ করতে পারেনি হামতে। ২-১ এগিয়ে থাকে মোহনবাান। অ্যাডেড টাইমে পেনাল্টি পায় আর্মি রেড। স্পট কিকে গোল মনপ্রীত সোমরাজন। স্কোরলাইন ২-২ হয়। তখন আর আড়াই মিনিটের মতো বাকি ছিল। যদিও আর ম্যাচে ফেরা হয়নি। ম্যাচে মোট ১২টি শট নেয় মোহনবাগান। এর মধ্যে ৮টি শটই টার্গেটে ছিল। যদিও গোল হয় মাত্র দুটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen + fourteen =