আইএসএলে টানা হার মোহনবাগানের

একটা হার মানসিক ভাবে কতটা বদলে দেয়, মোহনবাগানের পরিস্থিতিতেই পরিষ্কার। আইএসএলের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান। এ বারের আইএসএলে প্রথম পাঁচ ম্যাচই জিতেছিল। এরপর ড্র। নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে জয়ের রাস্তায় ফিরেছিল সবুজ মেরুন। যদিও গত ম্যাচে মুম্বইয়ের মাঠে হতাশার হার। সেই ম্যাচে রেফারিংয়ে আইএসএলে ইতিহাস হয়েছিল। তার ছাপ পড়ল ঘরের মাঠেও। অপরাজিত এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করলেও কোনও অংশেই পেরে উঠল না মোহনবাগান। আইএসএলের ইতিহাসে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার টানা দুই ম্যাচে হার সবুজ মেরুনের। এফসি গোয়ার পক্ষে স্কোর লাইন ৪-১।

ম্যাচের ৮ মিনিটেই প্রথম ধাক্কা মোহনবাগান শিবিরে। বলের জন্য পা অনেকটা তোলেন মনবীর সিং। তেমনই প্রতিপক্ষ ফুটবলারের গায়ে লেগে বল মনবীরের হাতেও লাগে। সহকারী রেফারির সঙ্গে আলোচনার পর পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। এফসি গোয়াকে অ্যাডভান্টেজ দেওয়া হয়। পেনাল্টি থেকে গোল করে ১০ মিনিটেই এফসি গোয়াকে এগিয়ে দেন নোয়া। বাগান গোলরক্ষক সঠিক অনুমান করে ডানদিকে ঝাঁপালেও বল আটকাতে পারেননি।

ব্যবধান বাড়াতে খুব বেশি সময় নেয়নি এফসি গোয়া। দ্বিতীয় গোলটির ক্ষেত্রে কোনও বিতর্ক নেই। বরং প্রতিপক্ষর প্রশংসাই করতে হয়। অনবদ্য মুভ। মোহনবাগান রক্ষণ ভাগ বুঝতেই পারেনি। ব্র্যান্ডন ফার্নান্ডেজের সৌজন্যে মুভ তৈরি হয়। ভিক্টর রডরিগজের অনবদ্য গোল। ৪২ মিনিটে এফসি গোয়া ২-০ এগিয়ে যাওয়ার পর রাস্তা আরও কঠিন হয় মোহনবাগানের।

এফসি গোয়া এ মরসুমের অপরাজিত দল। তাদের রক্ষণ ভাগে সন্দেশ ঝিঙ্গান রয়েছেন। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে অনবদ্য চেষ্টা মোহনবাগানের। পেত্রাতোসের শট বাঁচিয়ে দেন এফসি গোয়া গোলরক্ষক অর্শদীপ সিং। উল্টে কাউন্টার অ্যাটাকে মোহনবাগানের জালে বল জড়ায় গোয়া। দলের তৃতীয় এবং নিজের দ্বিতীয় গোল নোয়ার। দীপক টাংরির সামনে একটা টার্নেই জায়গা করে নেন নোয়া।

আর্মান্দো সাদিকুকে অযথা ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন নোয়া। ফ্রি-কিক পায় মোহনবাগান। ফ্রি-কিক থেকে চোখ ধাঁধানো গোল পেত্রাতোসের। সহজ করে বললে, বিশ্বমানের গোল। মোহনবাগান শিবিরে এনার্জি দেয় এই গোলই। এফসি গোয়া লাগাতার ক্লিনশিট রাখছিল। পেত্রাতোসের ফ্রি-কিকে সেই রেকর্ড ভাঙল। ৩-১ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় এফসি গোয়া।

পরিসংখ্যান বলছে, এ মরসুমে সবচেয়ে বেশি গোল করেছে মোহনবাগান। ৮ ম্যাচে ১৮টি গোল ছিল। ১৯ নম্বর গোলটি করলেন পেত্রাতোস। যদিও হাসিমুখে মাঠ ছাড়তে পারল না মোহনবাগান। একঝাঁক চোট সমস্যা থেকে বেরনোর চেষ্টা করছিল মোহনবাগান। তার ওপর গত ম্যাচে তিনটি রেড কার্ড। ছন্নছাড়া মোহনবাগানকে এ দিন এফসি গোয়ার সামনে অসহায় দেখিয়েছে। নির্ধারিত সময়ের শেষ মুহূর্তে আরও একটা পেনাল্টি গোলে ৪-১ করে এফসি গোয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − six =