ইন্ডিয়ান সুপার লিগে গত মরসুমে শিল্ড জিতেছিল মোহনবাগান। গত মরসুমে ডুরান্ড কাপ চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল। এ মরসুমে ডুরান্ড কাপ রানার্স। ফাইনালে টাইব্রেকারে হার নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের কাছে। ইন্ডিয়ান সুপার লিগেও শুরুটা ভালো হয়নি। ঘরের মাঠে মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে ২-০ এগিয়ে থেকেও শেষ অবধি মাত্র ১ পয়েন্ট। এরপর এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-তে খেলেছে মোহনবাগান। সেই ম্যাচেও গোলশূন্য ড্র। আজ ঘরের মাঠে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে বদলা ও বদলের ম্যাচ। এই টিমের বিরুদ্ধেই ডুরান্ড কাপ ফাইনালে হার, তাদের বিরুদ্ধে বদলা নিয়ে তিন পয়েন্টেই নজর সবুজ মেরুন শিবিরে।
দুরন্ত ছন্দে রয়েছে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড। প্রথম বার ডুরান্ড কাপ জিতেছে তারা। এক ধাক্কায় আত্মবিশ্বাস অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। যার ছাপ পড়েছে ইন্ডিয়ান সুপার লিগেও। কলকাতারই মহমেডান স্পোর্টিংয়ের বিরুদ্ধে ইনজুরি টাইমে গোল দিয়ে তিন পয়েন্ট ছিনিয়ে নিয়েছে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড। পরিবর্ত হিসেবে নেমে তাদের জয়ের নায়ক হয়ে উঠেছিলেন আলাদিন। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে আরও এক বার সাক্ষাতের আগে অনেকটা অভিজ্ঞতাও বেড়েছে নর্থ ইস্টের।
মোহনবাগান শিবিরে অবশ্য প্রশ্ন একটাই। আক্রমণ ভাগে কবে দেখা যাবে অস্ট্রেলিয়ার তারকা ম্যাকলারেনকে। তিনি কতটা ফিট, এই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এএফসির ম্যাচে ১৮ জনের স্কোয়াডে থাকলেও নামানো হয়নি। নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে তাঁর আইএসএল অভিষেক হয় কিনা সেটাই দেখার। গত মরসুমের মাঝপথেই কোচ বদল হয়েছিল মোহনবাগানের। ফেরান্দোর জায়গায় দায়িত্ব নিয়েছিলেন আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। এ মরসুমে হোসে মোলিনা। নতুন সেট-আপের সঙ্গে মানিয়ে নিতে যেন কিছুটা সমস্যা হচ্ছে সবুজ মেরুনের।