লিস্টনের অনবদ্য গোলে জয় মোহনবাগানের

দুটি অ্যাওয়ে ম্যাচ। দু-ম্যাচেই ড্র। অস্বস্তি বাড়ছিল মোহনবাগানে। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে গত বারের লিগ শিল্ড জয়ী মোহনবাগান। এ বারও শুরু থেকে দুর্দান্ত পারফর্ম করছে। ধারে ভারেও শক্তিশালী। কিন্তু দুটি অ্যাওয়ে ম্যাচে পয়েন্ট নষ্ট হওয়ায় কিছুটা হলেও চাপ বাড়ছিল। ঘরের মাঠে ফিরেই জয়ের রাস্তাতেও ফিরল মোহনবাগান। আর ফেরাটা অনেক বেশি তৃপ্তির, কারণ প্রতিপক্ষ টিমের নাম যে বেঙ্গালুরু এফসি! কলকাতা ডার্বি সবসময়ই আলাদা। এর বাইরে মোহনবাগানের যদি বড় প্রতিদ্বন্দ্বী থাকে সেই দুটো হল মুম্বই সিটি এফসি ও বেঙ্গালুরু এফসি। এই দু-দলের বিরুদ্ধে জয় বাড়তি তৃপ্তি দেয় প্লেয়ারদের। সমর্থকদের তো অবশ্যই। সেটাই হল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে।

মোহনবাগানের ঘরের মাঠের পরিসংখ্যান খুবই ভালো। আজকের আগে শেষ ষোলোটি হোম ম্যাচেই গোল করেছে মোহনবাগন। সেই ধারা বজায় থাকল। এর জন্য অবশ্য অপেক্ষা করতে হল ৭৪ মিনিট। বেঙ্গালুরু এফসিও ধারে ভারে শক্তিশালী টিম। তাদের ডিফেন্স হোক বা আক্রমণ ভাগ, স্টার প্লেয়ার রয়েছে। আক্রমণ ভাগে সুনীল ছেত্রীর মতো প্লেয়ার। কিন্তু মোহনবাগান অনেক গোছানো দল। সেটা আক্রমণের দিক থেকেই হোক আর রক্ষণ। কোনও ম্যাচে গোল করতে না পারাটাই মোহনবাগানের থেকে অপ্রত্যাশিত ঘটনা।

যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ঘরের মাঠের সমর্থকদের সামনে জয়ে ফিরতে মরিয়া ছিল মোহনবাগান। শুরু থেকেই দাপট দেখা গেল। কিন্তু যাবতীয় আক্রমণ বারবার আটকে যাচ্ছিল প্রতিপক্ষ বক্সে। অবশেষে ম্যাচের ৭৪ মিনিটে বহু কাঙ্খিত সেই গোল। প্রতিপক্ষ বক্সে অনবদ্য ক্রস গ্রেগ স্টুয়ার্টের। প্রতিপক্ষ ডিফেন্স হেড করলেও তা পড়ে লিস্টন কোলাসোর সামনে। যদিও মাটিতে বল পড়ার আগেই ভলিতে অনবদ্য গোল লিস্টন কোলাসোর। জার্সি খুলে সেলিব্রেশনে মাতলেন লিস্টন। সঙ্গী সতীর্থরা। শেষ অবধি ১-০ ব্যবধানেই জয়।

রেফারিং নিয়ে মোহনবাগানকে অনেক কটাক্ষ শুনতে হয়। তেমনই মরসুমের শুরু থেকে আনোয়ার আলির চলে যাওয়া নিয়েও অনেক কথা হয়েছে। ম্যাচ শেষে দুটি বিষয়েই কার্যত বিস্ফোরণ ঘটালেন মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত। বলেন, ‘মোহনবাগান একাধিক ম্যাচ ক্লিনশিট রাখছে। আমার মনে হয়, আনোয়ার চলে যাওয়ায় আমাদের শাপে বর হয়েছে। আর রেফারির বদান্যতায় কেউ এক নম্বরে থাকে না। আইএসএলের মঞ্চে দিনের পর দিন এক নম্বরে আছি। রেফারির বদান্যতায় তা সম্ভব নয়। যারা বলে, তারা ফুটবল বোঝে না। তারা মূর্খ। আমরা প্রত্যেক ম্যাচ জিতি। আমরা একটা ম্যাচ বা দুটো ম্যাচ ড্র করলে চাপে পড়ি, আবার জিতে ট্র্যাকে ফিরি। অনেক টিম ১০ ম্যাচ পর জিতলে মনে করে বিরাট ব্যাপার। আজ বেঙ্গালুরু ম্যাচ টাফ ছিল।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − four =