শিল্ড জিতল মোহনবাগান

এমন মুহূর্তের জন্যই তো অপেক্ষায় ছিল মোহনবাগান। গত ডিসেম্বরে অ্যাওয়ে ম্যাচে গোয়ায় হেরেছিল সবুজ মেরুন। এ বার বদলারও ম্যাচ ছিল। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের শিল্ড আগেই নিশ্চিত করেছিল মোহনবাগান। ঘরের মাঠে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচ। হারলে বা ড্র করলেও কিছু যেত আসতো না। এ দিনই শিল্ড তুলে দেওয়া হত। কিন্তু জিতে শিল্ড হাতে তোলার আনন্দই আলাদা। সেটাই করে দেখালো মোহনবাগান। ঘরের মাঠে বদলার ম্যাচে এফসি গোয়াকে ২-০ ব্যবধানে হারালেন পেত্রাতোসরা।

উৎসবের জন্য প্রস্তুত ছিল মোহনবাগান। কিন্তু গোলের দেখা কিছুতেই মিলছিল না। ম্যাচের আগে এফসি গোয়া কোচ মানোলো মার্কোয়েজ মন্তব্য করেছিলেন, মোহনবাগানের ডিফেন্স ভাঙা কঠিন। কার্যক্ষেত্রে সেটাই দেখা গেল। কিন্তু তাঁর দলের ডিফেন্স ভাঙতেও প্রবল সমস্যায় পড়েছে মোহনবাগান। অবশেষে আত্মঘাতী গোল। ম্যাচের ৬২ মিনিটে ১-০ লিড নেয় মোহনবাগান।

এক গোল পাওয়ার পর আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ে শিল্ডজয়ীদের। আর তাতেই ভুল করে বসেন এফসি গোয়ার অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার সন্দেশ ঝিঙ্ঘান। তাঁর পা থেকে বল ফসকায়। সেই ফাঁকে বল নিয়ে গোলে দৌড় গ্রেগ স্টুয়ার্টের। দুর্দান্ত ফিনিশ করেন। প্রথমটা আত্মঘাতী গোল হওয়ায় সবুজ মেরুন শিবির যেন সেই আনন্দটা পাচ্ছিল না। স্টুয়ার্টের গোলে বাঁধনহারা উচ্ছ্বাসে মাতল মোহনবাগান গ্যালারি।

কোচ হোসে মোলিনাও তৃপ্ত। ম্যাচের আগেই জানিয়েছিলেন, ৫৬ পয়েন্টে শেষ করতে পারলে আনন্দ বেশি হবে। এর জন্য ঘরের মাঠে সর্বস্ব দেওয়া এবং জেতার লক্ষ্য ছিল। তাঁর লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। এর আগে কোনও টিম এত পয়েন্ট নিয়ে লিগ পর্ব শেষ করেনি। এ দিক থেকেও মোহনবাগানের রেকর্ড।

ম্যাচ শেষে শিল্ড তুলে দেওয়া হয় মোহনবাগান ক্যাপ্টেন শুভাশিস বোসের হাতে। সঙ্গে প্রত্যেকে শিল্ড জয়ের মেডেল। প্রাইজমানিও তুলে দেন ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবে। গ্যালারির পাশাপাশি রং মশালে আকাশও তখন সবুজ মেরুন। টানা দু-বার আইএসএলে লিগ শিল্ড। এ বার মোহনবাগানের নজরে নকআউট ট্রফি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − 7 =