সদস্য-সমর্থকদের পাশে চাইছে মোহনবাগান

ইরানে এসিএল ২ -এর ম্যাচ খেলতে যায়নি মোহনবাগান। সেপাহান এসসির বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে ইরানে যাওয়া নিয়ে এমনিতেই মোহনবাগানের বিদেশিদের ভিসা সমস্যা ছিল। তিন অস্ট্রেলীয় ফুটবলার জেসন কামিংস, জেমি ম্যাকলারেন, দিমি পেত্রাতোস এবং যুক্তরাজ্যের ভিসা থাকা টম অলড্রেডের ইরানে যাওয়া নিয়ে সমস্যা ছিল। এসিএল-২ টুর্নামেন্ট থেকে মোহনবাগানকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে এশিয়ার ফুটবল নিয়ামক সংস্থা। দলের ইরান না যাওয়া নিয়ে একেবারেই সন্তুষ্ট নয় মোহনবাগান সমর্থকরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন মেরিনার্সরা। এবার এই বিষয়ে মোহনবাগান ক্লাবের তরফ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।

এই বিবৃতিতে ক্লাবের তরফ থেকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘খেলার আগেও গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারদের জীবন।’ “এসিএল-টু-তে মোহনবাগানের ইরানে খেলতে না যাওয়া নিয়ে সদস্য, সমর্থকদের মনে যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে, তা যে অমূলক তা আমরা মনে করি না। আমরাও বিশ্বাস করি, সব ধরণের প্রতিযাগিতাতেই মোহবাগানের খেলা উচিত। আপনাদেরও একটা বিষয় মাথায় রাখা উচিত, প্রতি বছর যে বিশাল বাজেটের দল তৈরি করা হচ্ছে, তা সব প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই। পরপর আইএসএল লিগ, কাপ সব জিতে ভারতীয় ফুটবলে মোহনবাগানের জয়পতাকা ওড়ানো নিশ্চয়ই সেই বার্তাই বহন করে।”

আরও জানানো হয়েছে, “এএফসিতে খেলতে না পারার জন্য আপনাদের মতো আমরাও মর্মাহত। কারণ, সঞ্জীব গোয়েঙ্কা প্রতিবছর ৭০-৬০ কোটি টাকার দল গঠন করেন। সর্বোচ্চস্তরে ভাল ফল করার জন্য। নিশ্চয়ই দ্বিতীয় সারির প্রতিযোগিতায় জেতার জন্য নয়। তাহলে এত খরচ করে দল গঠন করার পর কোনও সমস্যা না থাকলে ইরানে কেন খেলতে যাওয়া হবে না? তাছাড়া এই মরশুমের ভারতীয় ফুটবলের পরিস্থিতিও ভাবুন। আমরাও মোহনবাগানের কার্যকরী কমিটির পক্ষ থেকে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের বোর্ডে পুরো ব্যাপারটা আলোচনার জন্য তুলব। কারণ, দিনের শেষে আমরা সবাই বৃহত্তর মোহনবাগান পরিবার। আর সবাই চাই শুধুই মোহনবাগানের জয় দেখতে। সমর্থকদের মুখে এই হাসি দেখার জন্যই সঞ্জীব গোয়েঙ্কার এই বিশাল খরচ করে দল গঠন করা। আশা করব, যে কোনও পরিস্থিতিতে আমাদের সদস্য-সমর্থকরা আমাদের প্রতিটি সিদ্ধান্তের পাশে থাকবেন।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen + six =