ঘরের মাঠে তিন পয়েন্ট ছিনিয়ে নিল মোহনবাগান

ইন্ডিয়ান সুপার লিগে এ বারের মরসুমের অন্যতম সেরা ম্যাচ। গত বার লিগ শিল্ড জিতেছিল মোহনবাগান। তার আগের বার নকআউট চ্যাম্পিয়ন। এ বার প্রথম ম্যাচে দু-গোলে এগিয়ে থেকেও ড্র করেছিল মোহনবাগান। এরপর এএফসির ম্যাচেও ড্র। অস্বস্তি বাড়ছিল মোহনবাগান শিবিরে। ঘরের মাঠে রুদ্ধশ্বাস জয়ে স্বস্তি ফিরল সবুজ মেরুন শিবিরে। যদিও এই জয়ে কম ঘাম ঝরাতে হয়নি। বল পজেশন, গোলে শটের সংখ্যা যাই বলুক না কেন, কষ্টার্জিত তবে স্বস্তির জয় সবুজ মেরুনের। আরও বড় প্রাপ্তি তরুণ ফুটবলারের অনবদ্য একটা গোল। সঙ্গে আকর্ষণীয় হয়ে দাঁড়াল জেমি ম্যাকলারেনের অভিষেক।

ম্যাচের মাত্র পাঁচ মিনিটেই মহম্মদ আলি বিমারের গোলে পিছিয়ে পড়ে মোহনবাগান। ঘরের মাঠে শুরুতেই পিছিয়ে পড়া বড় অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। দ্রুতই অবশ্য জবাব দেয় সবুজ মেরুনও। ম্যাচের ১০ মিনিটে প্রায় মাঝ মাঠ থেকে পেত্রাতোসের ফ্রি-কিক। বাঁ দিক থেকে ভাসানো ফ্রি-কিক। কার্যত রোনাল্ডোর মতো লাফ। দুর্দান্ত হেডারে গোল করেন তরুণ ফুটবলার দীপেন্দু। ডাগ আউটও লাফিয়ে ওঠে তাঁর অনবদ্য গোল দেখে। দীপেন্দু বিশ্বাসের প্রথম আইএসএল গোল।

এই স্বস্তি দীর্ঘ স্থায়ী হয়নি। ২৪ মিনিটে আবারও লিড নেয় নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড। জিতিনের পাস থেকে গোল করেন আলাদিন। মোলিনার মাথায় হাত। মহমেডানের বিরুদ্ধে পরিবর্ত হিসেবে নেমে শেষ মুহূর্তে গোল করেছিলেন আলাদিন। এ দিন শুরু থেকে আলাদিনকে খেলান বেনালি। নর্থ ইস্ট বক্সে দুর্দান্ত বিল্ড আপ করেছিল মোহনবাগান। সেখান থেকেই বল নিয়ে কাউন্টার অ্যাটাকে গোল।

মোহনবাগানকে ম্যাচে ফেরান ক্যাপ্টেন শুভাশিস বোস। ডিফেন্সে দুটি গোল লাইন সেভও করে মোহনবাগান। ৬১ মিনিটে অবশেষে শুভাশিসের গোলে স্কোর লাইন ২-২ করে মোহনবাগান। এ বারের আইএসএলে একটা ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে, ম্যাচের ৮৫ মিনিটের পর প্রচুর গোল হচ্ছে। এই ম্যাচেও তার অন্যথা হল না। ৮৭ মিনিটে স্বস্তির গোল করেন পরিবর্ত হিসেবে নামা জেসন কামিংস। সাহালের দুর্দান্ত পাস থেকে বাঁ পায়ের শটে গোল কামিংসের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 − two =