ডায়মন্ডকে পাঁচ গোল মোহনবাগানের

শনিবার যুবভারতীতে গ্রুপ বি -এর প্রায় অঘোষিত কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট ও ডায়মন্ড হারবার এফসি। ৫-১ গোলে ডায়মন্ড হারবারকে হারিয়ে জয়ী মোহনবাগান। ডুরান্ড কাপের পরবর্তী রাউন্ডে যোগ্যতা অর্জন করল মোলিনার মোহনবাগান। তারকা, অভিজ্ঞতা, প্রতিভায় ভরপুর ডায়মন্ড হারবার যতটা লড়াই দেবে বলে আশা করা হয়েছিল তেমনটা মোটেও দেখা গেল না। প্রায় ৪০ মিনিটেরও বেশি ১০ জনে খেলেছে কিবু ভিকুনার দল।

মনবীরের জায়গায় সিনিয়র দলে অভিষেক হল পাসাং দর্জি তামাংয়ের। যিনি ডেভেলপমেন্ট লিগে নজর কেড়েছিলেন। এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে শুরু করে মোহনবাগান। ১৫ মিনিটে আসে প্রথম সুযোগ, সাহাল আব্দুল সামাদের পাস পেয়ে শট নেন জেমি ম্যাকলারেনের। ডায়মন্ড গোলকিপার সুস্নাত মালিক বুদ্ধিদীপ্ত ভাবে আটকে দেন। ১৯ মিনিটে সাহালের পাস পেয়ে ডি-বক্সের ভিতর থেকে অনিরুদ্ধ থাপার গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান।*যদিও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ২৪ মিনিটে সমতায় ফিরল ডায়মন্ড হারবার।* জায়গায় ছিলেন না বাগান ডিফেন্ডাররা। সহজ সুযোগ পেয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন লুকা মাজেন। ৩৫ মিনিটে ডায়মন্ডের লালিয়ানসাঙ্গার ভুলে সাহালের বাড়ানো বল থেকে জেমি ম্যাকলারেন গোল করেন।

দ্বিতীয়ার্ধের ম্যাকলারেনের পরিবর্তে মাঠে নামেন জেসন কামিংস। বক্সের ভিতর ইচ্ছাকৃত ভাবে লিস্টনকে ফাউল করায় লাল কার্ড দেখলেন ডায়মন্ডের ডিফেন্ডার নরেশ সিং। ৫০ মিনিটের পেনাল্টি থেকে গোল করে ৩-১ করলেন লিস্টন কোলাসো। ৬৫ মিনিটে কামিংসের বাড়ানো বলে গোল করলেন সাহাল আব্দুল সামাদ। ৮০ মিনিটে বাঁ পায়ের জোরালো শটে গোল করেন জেসন কামিংস। এরপর আর ম্যাচে ফিরে আসার রাস্তা ছিল না ডায়মন্ডের কাছে। যুবভারতী থেকে একরাশ আনন্দ নিয়ে ফিরলেন সবুজ-মেরুন সমর্থকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven + sixteen =