ফাইনালে এগিয়ে থেকেও হার মোহনবাগানের

ত্রিমুকুট হল না। অভিশপ্ত পরিসংখ্যান অক্ষত রইল। সেই অভিশপ্ত পরিসংখ্যান কী? কোনও টিম ঘরের মাঠে আইএসএল ফাইনাল জেতেনি। মোহনবাগানের কাছে সুযোগ ছিল সেই পরিসংখ্যান বদলানোর। পরিস্থিতিও তেমনই তৈরি হয়েছিল। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে জেসন কামিংসের গোলে লিড নেয় মোহনবাগান। কিন্তু আরও একটা অভিশপ্ত পরিসংখ্যান রয়েছে। ২০২১ সালের সেই ফাইনাল। সেখানেও মুখোমুখি হয়েছিল মোহনবাগান (এটিকে মোহনবাগান) ও মুম্বই সিটি এফসি। ১৮ মিনিটেই এগিয়ে গিয়েছিল মোহনবাগান। কিন্তু সেখান থেকে ২-১ ব্যবধানে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মুম্বই সিটি এফসি।

গ্যালারি পাশে। সবটাই মোহনবাগানের পক্ষে। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানও। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ইতিহাসে মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে অতীত সুখকর ছিল না মোহনবাগানের। এ মরসুমের আগে অবধি আইএসএলে একবারও মুম্বইকে হারাতে পারেনি সবুজ মেরুন। গত ১৫ এপ্রিল সেই রেকর্ড ভাঙে। আইএসএলে প্রথম বার মুম্বই সিটি এফসিকে হারায় মোহনবাগান। শুধু তাই নয়, প্রথম বার আইএসএল লিগ শিল্ডও জেতে মোহনবাগান। ফাইনালে এমন প্রত্যাশাই ছিল। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা লিড নিলেও তিন গোল হজম করে।

এক গোল কখনও সুরক্ষিত নয়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই তা টের পায় মোহনবাগান। প্রথমার্ধে বেশ কিছু লিড নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল মুম্বই সিটি এফসি। সাফল্য আসেনি। দ্বিতীয়ার্ধে মুম্বই সিটি এফসির সমতা ফেরানোর গোল মোহনবাগানের ভুলেই। নগুয়েরার লং বল মনবীরের সামনে পড়ে। তা ক্লিয়ার করতে পারেননি। পেরেরা দিয়াজের শুধু জালে জড়ানো বাকি ছিল। সেটায় কোনও ভুল করেননি। মনবীর বলটা ক্লিয়ার করলে পরিস্থিতি এমন দাঁড়াত না। ৮১ মিনিটে অদ্ভূত গোল খায় মোহনবাগান। ছাংতের শট, ব্লক, জ্যাকুবের শট সেটিও ব্লক। বিপীনও শট নিতে গিয়ে ফল্স খেয়েছিলেন, সেই মুভে তাঁর শটেই গোল।

ম্যাচে ৯ মিনিট অ্যাডেড টাইম দেওয়া হয়। পরিবর্ত হিসেবে নামা দুই ফুটবলারের যুগলবন্দি। অ্যাডেড টাইমে জ্যাকুবের গোল। বিপিনের মিস হলেও জ্যাকুব বাঁ পায়ের অনবদ্য শটে গোল করে ব্যবধান ৩-১ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen + twenty =