ঢাকায় এগিয়ে থেকেও হার মোহনবাগানের

ইন্ডিয়ান সুপার লিগ এবং এএফসি কাপে দুর্দান্ত ছন্দে মোহনবাগান। আইএসএলে গত বারের চ্যাম্পিয়ন। এ মরসুমে প্রথম চার ম্যাচেই জিতেছে মোহনবাগান। এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে প্রথম দু-ম্যাচে জিতেছিল। জয়ের হ্যাটট্রিক হয়নি। ভুবনেশ্বরে বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে ২-২ ড্র। বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে এগিয়ে থেকেও হার মোহনবাগানের। স্বাভাবিক ভাবেই প্রবল চাপে পড়ল সবুজ মেরুন।

ম্যাচে ১৭ মিনিটেই লিস্টন কোলাসোর গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। জেসন কামিংসের শট আটকে দেন বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক। ফিরতি বলের অপেক্ষায় ছিলেন লিস্টন। বক্সের সামান্য বাইরে থেকে জোরালো শটে গোল। ভুবনেশ্বরে বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে হোম ম্যাচে ২-২ ড্র করেছিল সবুজ মেরুন। অ্যাওয়ে ম্যাচে সে কারণেই বাড়তি চাপ ছিল মোহনবাগানের ওপর। পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার জন্য জিতে এগিয়ে থাকাই লক্ষ্য ছিল। কিন্তু পরিস্থিতি প্রতিকূল হল মোহনবাগানের।

এক গোল কখনোই সুরক্ষিত নয়। বহু ব্যবহারে ক্লিশে এই বাক্য আবারও সত্যি হল। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে সমতা ফেরায় বসুন্ধরা কিংস। ঘরের মাঠে সমর্থকদের উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মতোই। স্বাভাবিক ভাবেই অ্যাওয়ে ম্যাচে চাপে পড়ে মোহনবাগান। বসুন্ধরা কিংসের হয়ে গোল করেন মিহিল ফেরেরা। আইভরি কোস্টের ফুটবলার দিদিয়েরের দারুণ পাস। বক্সের বাইরে বল রিসিভ করে টার্ন এবং শটে গোল।

প্রথমার্ধে ১-১ স্কোর লাইন। দ্বিতীয়ার্ধে দাপুটে ফুটবল বসুন্ধরা কিংসের। ঘরের মাঠের সমর্থনে বাড়তি তাগিদ ছিল বসুন্ধরার। নির্ধারিত সময়ের ১০ মিনিট আগেই সেলিব্রেশন শুরু হয়ে যায় ঢাকার কিংস এরিনায়। সৌজন্যে রুবিনহোর গোল। এ বারও পাস আইভরির সেই দিদিয়েরের। তাঁর ছোট্ট পাস, বক্সের সামনে থেকে রুবিনহোর শট জালে। গ্যালারিতে রং মশাল, মাঠে সেলিব্রেশন। ২-১ গোলে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা কিংস। যেন জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে তখনই। মোহনবাগানের হাতে সময় খুবই কম।

শেষ মুহূর্তে অনিরুদ্ধ থাপার জায়গায় আশিস রাইকে নামান হুয়ান ফেরান্দো। ভুবনেশ্বরে বসুন্ধরার বিরুদ্ধে ড্র ম্যাচে গোল করেছিলেন আশিস। ৫ মিনিট সংযুক্তি সময় দেন ম্যাচ অফিসিয়াল। তাতেও অবশ্য স্কোরলাইনে কোনও বদল হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two + twelve =