ইন্ডিয়ান সুপার লিগের সেমিফাইনাল। প্রথম লেগে অ্যাওয়ে ম্যাচে নেমেছিল মোহনবাগান। ঘুরে দাঁড়ালেও শেষ রক্ষা হয়নি। নানা অস্বস্তি মোহনবাগান শিবিরে। এর চেয়েও বড় অস্বস্তি রাখল জামশেদপুরের সমর্থকদের আচরণ। সেমিফাইনাল ডাবল লেগের। ফিরতি লেগে মোহনবাগান খেলবে ঘরের মাঠে। প্রথম লেগে জামশেদপুরের মাঠে অন্তত ড্র করলেও বড় স্বস্তিতে থাকা যেত। সেই পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছিল। শেষ অবধি ২-১ ব্য়বধানে ম্যাচ জয় জামশেদপুর এফসির।
ম্যাচের ২৪ মিনিটে হাভিয়ের সিভেরিয়োর গোলে এগিয়ে যায় জামশেদপুর এফসি। তাতে অবশ্য চাপে পড়েনি মোহনবাগান শিবির। দীর্ঘ বিরতির পর ম্যাচ। ছন্দ পেতে একটু সময় লাগবেই। মোহনবাগান ঘুরে দাঁড়াল দ্রুতই। ম্যাচের ৩৭ মিনিটে অনবদ্য গোল জেসন কামিংসের। সমতা ফেরাতেই মোহনবাগান শিবিরে স্বস্তি। এখান থেকে ম্যাচ যে কোনও দিকেই যেতে পারে। কিন্তু এই গোলে গ্যালারিতে তৈরি হল অস্বস্তি।
জামশেদপুরের গ্যালারিতে পুলিশের নৃশংস আচরণ। মোহনবাগান সমর্থকদের লাঠিপেটার অভিযোগ। জখম মোহনবাগানের বেশ কিছু সমর্থক। অভিযোগ স্থানীয় পুলিশের বিরুদ্ধে। জামশেদপুরে জেসন কামিংসের গোলের পরই সেলিব্রেট করতে থাকেন বাগান সমর্থকরা। সেটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু অভিযোগ, তারপরই বাগান সমর্থকদের উপর চড়াও হয় গ্যালারিতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ। ৩-৪ জন মোহনবাগান সমর্থক গুরুতর জখম হয়। একজনের মাথা ফেটে গিয়েছে। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে। মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত গিয়েছেন হাসপাতালে আক্রান্ত সমর্থককে দেখতে।
খেলার মাঠে দু-দলের সমর্থকদের মধ্যে বচসা নতুন নয়। আর তা আটকানোর জন্যই নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন পুলিশকর্মীরা। কিন্তু এখানে অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধেই। ফুটবল প্রেমীদের কাছে যা চূড়ান্ত অস্বস্তির। জামশেদপুরের এই ঘটনা ফুটবলকেই যে লজ্জায় ফেলেছে, বলাই যায়।