কলিঙ্গতে বাজিমাত সবুজ-মেরুনের। কেরালা ব্লাস্টার্সকে ২-১ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে মোহনবাগান। শনিবার কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে সুপার কাপের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট ও কেরালা ব্লাস্টার্স। এই ম্যাচে এক বিদেশি নিয়ে মাঠে নামে বাস্তব রায়ের দল। ম্যাচের শুরু থেকেই কেরালার উপর চাপ বাড়ায় সবুজ-মেরুন। ম্যাচের ২২ মিনিটের মাথায় সাহাল আব্দুল সামাদের গোলে এগিয়ে যায় দল। এর পরে সেই গোল শোধের জন্য ঘনঘন আক্রমণে ওঠে ব্লাস্টার্স। এই ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টার্সের মরোক্কান স্ট্রাইকার নোয়াই ছিলেন চ্যালেঞ্জ। তিনি একাধিক সুযোগ তৈরি করার পরেও গোল তুলে আনতে ব্যর্থ হয় দল।
গত ম্যাচে লাল-হলুদের বিপক্ষে এই তারকা উইঙ্গার অনবদ্য ফুটবল খেলেছিলেন। তবে বাগানের রক্ষণের কাছে পুরোপুরি বোতলবন্দি ছিলেন নোয়া। প্রথমার্ধে একাধিক সহজ সুযোগ নষ্ট করে কেরালা ব্লাস্টার্স। মোহনবাগানও প্রতি আক্রমণে গিয়ে গোলসংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা চালায়। ম্যাচের ৪৫ মিনিটের মাথায় বাগানের তারকা উইঙ্গার আশিক কুরুনিয়ান হলুদ কার্ড দেখেন। প্রথমার্ধে আর কোনও গোল আসেনি ম্যাচে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আক্রমণের তেজ বাড়াতে কেরালা ব্লাস্টার্স বিদেশি স্ট্রাইকার পেপরাহকে মাঠে আনে। তবে সবুজ-মেরুন দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতেই আবারও কাশ্মীরী তারকা স্ট্রাইকার সুহেল ভাটের গোলে এগিয়ে যায়। এরপরে কেরলের উপর আরও চাপ বাড়তে থাকে। তার মধ্যে দলের প্লে-মেকার লুনা গত ম্যাচে চোটের কারণে এই ম্যাচে খেলতে পারেননি। ৯৪ মিনিটের মাথায় পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামা কেরালা ব্লাস্টার্সের শ্রী কুট্টান একটি গোল শোধ করেন। তাও ম্যাচ জেতার জন্য যথেষ্ট ছিল না। এই ম্যাচ জিতে সুপার কাপের সেমিফাইনালে সবুজ-মেরুন। সুপার কাপ জয় থেকে দু’ধাপ দূরে বাগান। এই ট্রফি জিতলে এক মরসুমে সব ক’টা ট্রফি জয়ের নতুন রেকর্ড করে ফেলবে সবুজ-মেরুন।