গত বারের এএফসি কাপে অনেকটা দূরত্ব পেরিয়েছিল মোহনবাগান। আরও ভালো ফলের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল তারা। এএফসি কাপের ইন্টার-জোনাল সেমিফাইনালে হার এবং বিদায় হয়ে যায়। এ বার এএফসি কাপকেই পাখির চোখ করছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। মরসুমের শুরুতে সেই লক্ষ্যেই দল সাজিয়েছে তারা। ডুরান্ড কাপে প্রথম দু-ম্যাচে জিতলেও ডার্বিতে হার। মোহনবাগানের আত্মবিশ্বাসে বড় ধাক্কা দিয়েছিল। এএফসি কাপে অবশ্য তার প্রভাব পড়েনি। সাউথ জোন বাছাই পর্বের প্রথম ম্যাচে নেপালের মাচিন্দ্রা এফসিকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়েছে মোহনবাগান। আগামী কাল দ্বিতীয় ম্যাচে মোহনবাগানের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশের আবাহনী ক্লাব। এই ম্যাচ জিতলে গ্রুপ পর্বে জায়গা করে নেবে মোহনবাগান। হয়তো সে কারণেই এই ম্যাচকে ‘ফাইনাল’ মনে করছেন কোচ হুয়ান ফেরান্দো। আবাহনী ম্যাচ প্রসঙ্গে মোহনবাগান কোচ হুয়ান ফেরান্দো সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই ম্যাচটা আমাদের কাছে ফাইনালের মতোই। ম্যাচে যা সম্ভব করব। একশো শতাংশ দিয়ে লড়াই করব।’ টানা সূচিও তাঁর দলের জন্য সমস্যা তৈরি করছে বলে মনে করেন ফেরান্দো। বলছেন, ‘ঠাসা ক্রীড়াসূচি। ভারসাম্য রাখা খুবই কঠিন। প্রাক-মরসুমও কঠিন ছিল। নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার সে অর্থে সুযোগই পাইনি। আমরা প্রতিটি ম্যাচেই সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। কালকের ম্যাচটা নিয়েই ভাবছি। এরপর ডুরান্ডের নকআউট নিয়ে পরিকল্পনা গড়ব। কিছু প্লেয়ার কলকাতা লিগ, ডুরান্ড কাপ, এএফসি কাপ, তিন টুর্নামেন্টেই খেলছে। আপাতত আমরা এএফসি কাপ নিয়েই ভাবছি। এরপর ডুরান্ড এবং মরসুমের বাকি সময়ের প্রস্তুতি নেব।’ গত মরসুমেও আবাহনীর বিরুদ্ধে খেলেছিল মোহনবাগান। মারিও লামোসের দলের বিরুদ্ধে গত সাক্ষাতে ৩-১ ব্যবধানে জিতেছিল সবুজ মেরুন। তবে এ বারের দল অনেক বেশি গোছানো। টানা চার ম্যাচ জিতে এসেছে আবাহনী। এর মধ্যে এএফসি কাপের প্রাথমিক পর্বে মলদ্বীপের ঈগল ক্লাবকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে। ফেরান্দো বলছেন, ‘দুটো দলই সমান স্তরের। গত মরসুমের ম্যাচটা পুরোপুরি আলাদা ছিল। কম্বিনেশনও ভিন্ন ছিল।’ এ বার কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে পড়তে হবে বলেই মনে করেন ফেরান্দো।