কলকাতা লিগে টানা দ্বিতীয় জয় পেল মোহনবাগান। আগের ম্যাচে কালীঘাট স্পোর্টস লাভার্স অ্যাসোসিয়েশনকে হারানোর পর সবুজ-মেরুনের তরুণ ব্রিগেড জিতল রেলওয়ে এফসির বিরুদ্ধে। ২-০ গোলে জেতে মোহনবাগান। গোল করেন সন্দীপ মালিক, শিবম মুন্ডা। তবে এই ম্যাচে নাটক তোলা রইল অন্য জায়গায়। চোখে পড়ল পরিচালনের অব্যবস্থাও।
ব্যারাকপুরের স্টেডিয়ামে ৫ মিনিটের মাথায় মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন সন্দীপ মালিক। দুরন্ত ভলিতে জালে বল জড়ান সবুজ-মেরুনের অধিনায়ক। একেবারে শেষের দিকে ব্যবধান বাড়ান শিবম মুন্ডা। তবে এই ম্যাচে চর্চায় ৩৫ মিনিটের মাথায় রেলওয়ে এফসির প্রতিশ্রুতিমান ফুটবলার তারক হেমব্রমের চোট। মার্শাল কিßুñর সঙ্গে সংঘর্ষে বাঁপায়ে গুরুতর চোট পান তারক। যন্ত্রণায় রীতিমতো কাতরাতে থাকেন। তাঁর শুশ্রূষা শুরু করেন মোহনবাগানের চিকিৎসক। তারপর দেখা যায়, যখন তাঁর পায়ে ব্যান্ডেজ করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সেখানে দুটো ছাতা দিয়ে সাপোর্ট দেওয়া। পরে তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বাংলার একজন তরুণ, প্রতিশ্রুতিমান ফুটবলারের গুরুতর চোটের ক্ষেত্রে ছাতা দিয়ে ব্যান্ডেজ বেঁধে পরিচর্যা? কলকাতা লিগের এই চরম অব্যবস্থা দেখে ক্ষুব্ধ বাংলার ফুটবলপ্রেমীরা। ২৩ বছর বয়সি ফুটবলার এর আগে ইউনাইটেড এসসি ও নেরোকা এফসি-তে খেলেছেন। কিছুদিন আগে ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে উত্তর ২৪ পরগনার জেলা দলের হয়েও খেলেছিলেন। জানা যাচ্ছে, আপাতত তারককে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চোট বেশ গুরুতর, তবে এসিএলের চোট নিয়ে সেটা এখনই জানা যাচ্ছে না।
ম্যাচের ৬৩ মিনিটে দুই দলের মধ্যে গন্ডগোল বাঁধে। বল দখলকে কেন্দ্র করে কার্যত হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দুই দলের ফুটবলাররা। যার পরিপ্রেক্ষিতে রেফারি লাল কার্ড দেখান মোহনবাগানের সালাউদ্দিন ও রেলওয়ের গোলকিপার সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পরে লাল কার্ড দেখেন রেলওয়ের সৌমিক কোলে। তবে মোহনবাগান আরও ব্যবধানে জিততে পারত। সহজ সুযোগ নষ্ট করেন শিবম। তিন ম্যাচে মোহনবাগানের পয়েন্ট ৬।

