নিয়মরক্ষার ম্যাচেও হার মোহনবাগানের। মলদ্বীপের মাজিয়া এসআরসির কাছে ০-১ গোলে হার সবুজ-মেরুনের। খেলার ৪০ মিনিটে মাজিয়ার হয়ে জয়সূচক গোল হাসান রাইফ আহমেদের। এএফসি কাপ থেকে আগেই ছিটকে গিয়েছিল গঙ্গাপারের ক্লাব। মাজিয়ার কাছে হারের ফলে পয়েন্ট টেবলে তিন নম্বরেই শেষ করল মোহনবাগান। ৬ ম্যাচে বাগানের ঝুলিতে ৭ পয়েন্ট। এএফসি কাপে শেষ চার ম্যাচে জয়ের দেখা পেল না সবুজ-মেরুন। ওড়িশার কাছে বড় ব্যবধানে হারের পর মাজিয়ার কাছে ০-১ গোলে পরাস্ত আইএসএল চ্যাম্পিয়নরা। টানা তিন বছর এএফসি কাপে খেললেও শূন্য হাতেই শেষ করল মোহনবাগান। শেষ তিন বছরে এএফসিতে সাফল্য বলতে জোনাল সেমিফাইনাল। কখনও উজবেকিস্তানের দল, কখনও মালয়েশিয়ার দলের কাছে জোনাল সেমিফাইনালে হারতে হয়েছে। এ বছর গ্রুপ রাউন্ড টপকাতেই ব্যর্থ ফেরান্দোর দল।
নিয়মরক্ষার ম্যাচ। তাই বিদেশি ছাড়াই মলদ্বীপে এএফসি কাপের ম্যাচ খেলতে গিয়েছিল মোহনবাগান। বেশ কয়েকজন সিনিয়র ফুটবলারও যাননি মলদ্বীপে। মূলত তরুণ ব্রিগেডই যায় এএফসি কাপের ম্যাচ খেলতে। দলের সঙ্গে যায় ১৩জন ফুটবলার। ওড়িশার কাছে ঘরের মাঠে বিধ্বস্ত হওয়ার পরই এএফসি কাপের ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় মোহনবাগান। এএফসি থেকে ছিটকে যাওয়ার পর আইএসএলকেই এখন ফোকাস করেছে বাগান টিম ম্যানেজমেন্ট। আইএসএলে প্রথম বার লিগ শিল্ড জিততে মরিয়া ফেরান্দো ব্রিগেড। নিয়মরক্ষার ম্যাচেও বাগানের দেশিয় ফুটবলাররা মলদ্বীপের মাজিয়া এফসির বিরুদ্ধে বেশ লড়াই চালালেন।
ম্যাচের ৬ মিনিটে ফ্রিকিক পায় মাজিয়া। ১৩ মিনিটে মাজিয়ার ভোজিস্লাভ বালাবানোভিচের শট আটকে দেন বাগান গোলকিপার আর্শ আনোয়ার। ১ মিনিট বাদে হাসান রাইফের শট রুখে দেন তিনিই। ১৫ মিনিটে ব্রানিমির জোসিচের হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ১৮ মিনিটে মোহনবাগানের তরুণ ফুটবলার এনজসন সিংয়ের শট বাইরে যায়। ২৭ মিনিটে এনজসনের প্রচেষ্টা রুখে দেয় মাজিয়া।