শেষ ওভারে মহসিনের চমক, মুম্বইকে হারিয়ে কাযর্ত প্লে-অফে লখনউ

বেশ কয়েক দিন পর আরও একটা রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ। কোনও সময় মনে হয়েছে ম্যাচ মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের দখলে, আবার কখনও লখনউ সুপার জায়ান্টসের। লখনউয়ের মন্থর পিচে লো-স্কোরিং ম্যাচের প্রত্যাশা ছিল। মার্কাস স্টইনিসের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে মুম্বইকে বড় রানের লক্ষ্য দিয়েছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। কার্যত তাদের মুখের গ্রাস কেড়ে নিচ্ছিলেন টিম ডেভিড। শেষ ওভারে মুম্বইয়ের প্রয়োজন ছিল ১১ রান। বোলিংয়ে তরুণ বাঁ হাতি পেসার মহসিন খান। স্নায়ুর চাপ সামলে অনবদ্য বোলিং। শেষ অবধি লখনউ সুপার জায়ান্টস জিতল মাত্র ৫ রানে। টিম ডেভিডকে ছাপিয়ে ম্যাচের নায়ক হয়ে উঠলেন মহসিন খান। দুর্দান্ত ব্যাটিং, অনবদ্য বোলিং, দৃষ্টিনন্দন ফিল্ডিং এবং সেই সঙ্গে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত উত্তেজনা। একটি আদর্শ ক্রিকেট ম্যাচে যা যা মশলা থাকা উচিত, সবটাই যেন নিংড়ে দিল মঙ্গলবারের লখনউ৷ স্লো পিচে মার্কস স্টয়নিস, রোহিত শর্মা, ইশান কিষান, টিম ডেভিড, রবি বিষ্ণোইরা নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিলেন। যার ফলে স্বপ্নের ম্যাচ উপহার পেলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। আর এই টানটান ম্যাচে শেষ হাসি হাসল লখনউ সুপার জায়ান্টসই। ৫ রানে ম্যাচ জিতে প্লে-অফে খেলা কার্যত নিশ্চিত করে ফেলল তারা। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে এদিন নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৭৭ রান তোলে লখনউ। একটা সময় যেখানে মাত্র ৩৫ রানে ৩ উইকেট পড়ে গিয়েছিল সেখান থেকে মার্কস স্টয়নিসের অনবদ্য ইনিংসে ভর করে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার রসদ পেয়ে যায় লখনউ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত হয় মুম্বইয়ের। ওপেনিং জুটিতেই ৯০ রান তুলে দেয় পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। ৯০ রানের মাথায় রোহিত শর্মা আউট হওয়ার আগে পর্যন্ত মনে হচ্ছিল পিচ যতই স্লো হোক, মুম্বই অনায়াসেই লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে। কিন্তু রোহিতের (২৫ বলে ৩৭) উইকেটের পরই খেলা ঘুরতে থাকে। দু’ওভারে বাদেই ফিরে যান ফর্মে থাকা ঈশান কিষান (৩৯ বলে ৫৯)। ঈশানের উইকেটের পরই মুম্বইয়ের উপর চাপ বাড়িয়ে দেন লখনউ স্পিনাররা। যার ফল মেলে হাতেনাতে। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সূর্য ফিরে যান মাত্র ৭ রান করে। এরপরই ব্যাকফুটে চলে যায় মুম্বই। সেই চাপ আর কাটিয়ে উঠতে পারেননি মুম্বই ব্যাটাররা। যদিও টিম ডেভিড দুর্দান্ত ইনিংস খেলে মুম্বইকে ম্যাচে ফেরালেও, শেষ ওভারে মাত্র ১১ রান তুলতে পারলেন না মুম্বই ব্যাটাররা। অনবদ্য বোলিং করে গ্রিন এবং ডেভিডকে মাত্র ৫ রানে বেঁধে ফেললে মহসিন খান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 3 =