কেরল ব্লাস্টার্সকে হারিয়ে ডুরান্ডের সেমিফাইনালে মহামেডান

ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে পৌঁছল মহামেডান স্পোর্টিং। শুক্রবার সাদা-কালো ব্রিগেড ৩-০ গোলে কেরল ব্লাস্টার্সকে মাটি ধরায়। আর প্রাধান্য রেখে এই ম্যাচ জিতে শেষ চারের ছাড়পত্র জোগার করে নিলেন মার্কাস জোসেফরা। কলকাতার অপর দুই প্রধান ইস্ট-মোহন অনেক আগেই ছিটকে গিয়েছে টুর্নামেন্ট থেকে। সেখানে মহামেডান স্পোর্টিং কলকাতা ফুটবলের পতাকা বহন করছে। দিনান্তে সাদা-কালো শিবির এগলো আরও এক ধাপ।

মহামেডান স্পোর্টিংয়ের অধিনায়ক মার্কাস জোসেফ ম্যাচের আগে বলেছিলেন, তাঁর লক্ষ্য তিন পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছনো। সেটাই হল। ত্রিনিদাদ টোব্যাগোর জাদুকর গোল করালেন। তাঁর খেলা নজর কাড়ল। নিজে অবশ্য গোল করেননি। কিন্তু অ্যাবিওলা এলেন, দেখলেন এবং জয় করে নিলেন। দু’টি গোল করলেন মহামেডানের নাইজেরীয় ফুটবলার।
প্রথমার্ধে শেখ ফৈয়াজ এগিয়ে দেন সাদা-কালো ব্রিগেডকে। বাঁ দিক থেকে গড়ানে সেন্টার করেছিলেন মার্কাস জোসেফই। ওই মাটি ঘেঁষা সেন্টার থেকেই গোলটি করেন শেখ ফৈয়াজ। তার পরেও গোল করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছিল সাদা-কালো ব্রিগেড। মার্কাসের গড়ানে সেন্টারে অবশ্য সেই যাত্রায় পা ছোঁয়াতে পারেননি শেখ ফৈয়াজ। গোল হয়ে গেলে বিরতির আগেই ২-০ গোলে এগিয়ে যেত মহামেডান স্পোর্টিং।

দ্বিতীয়ার্ধে দ্বিতীয় গোলটি পায় আন্দ্রে চেরনিশভের ছেলেরা। গোলের আক্রমণ শুরু হয়েছিল সেই মার্কাসের পা থেকেই। কেরল ব্লাস্টার্সের পেনাল্টি বক্সের ভিতরে অ্যাবিওলা বল পান। গোলমুখ ছোট করে বেরিয়ে আসেন কেরল ব্লাস্টার্সের গোলকিপার। অ্যাবিওলা কিন্তু বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে কেরল গোলকিপারকে কাটিয়ে ২-০ করেন।

সাদা-কালো ব্রিগেডের হয়ে তৃতীয় গোলটি সেই অ্যাবিওলারই। বাঁ দিক থেকে অভিষেক আম্বেকরের ক্রস থেকে হেডে ৩-০ করেন নাইজেরীয় ফুটবলার। ডুরান্ড কাপের শুরু থেকেই মহামেডান স্পোর্টিং ছন্দে রয়েছে। কোয়ার্টার ফাইনালেও মার্কাস জোসেফ, শেখ ফৈয়াজরা বেশ ছন্দময় ফুটবল খেললেন। তাঁদের খেলা নজর কাড়ল। সমর্থকদের মুখে ফুটবল হাজার ওয়াটের আলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − 8 =