এই মরশুমে আইপিএলে আর খেলতে পারবেন না মহম্মদ সামি

ধাক্কা সামলানো কঠিন। এই ধাক্কা পুরো মরসুমে প্রভাব ফেলতে পারে। বোলারের নাম যদি হয় মহম্মদ সামি, এমন তো হবেই। বাঁ পায়ের পাতায় চোট পেয়েছিলেন ওয়ান ডে বিশ্বকাপের সময়। তা এখনও সারেনি। লন্ডনে গিয়েছিলেন মাঝে। ঠিক করা হয়েছিল, বাংলার পেসারকে ইঞ্জেকশন ও বিশ্রামের মধ্যে দিয়ে মাঠে ফেরানোর চেষ্টা করা হবে। সেই প্রক্রিয়া শুরুও হয়। কিন্তু কাজে লাগল না। এখন অস্ত্রোপচার ছাড়া আর কোনও উপায় নেই সামির। যা পরিস্থিতি, তাতে এ বারের আইপিএলে আর খেলতে পারবেন না অভিজ্ঞ পেসার। এমনকি, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাঁকে পাওয়া যাবে, জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না।

দাদার বিকল্প হিসেবে ভাইকে পেতে চাইছে গুজরাট। অর্থাৎ, সামির ভাই মহম্মদ কাইফকে আইপিএলে সই করাতে চলেছে গুজরাট। রঞ্জিতে দারুণ পারফরম্যান্সের পর যাঁকে নিয়ে বলা হচ্ছে, দাদার মতোই বল করেন। সেই একই ঝাঁঝ, সুইং রয়েছে সামির ভাইয়ের বোলিংয়ে। বাংলার হয়ে রঞ্জি ট্রফি খেলে যেমন উত্থান হয়েছিল সামির, কাইফের গল্পও তেমনই। সামিরই মতো ময়দানের পরিচিত ক্লাব টাউনে খেলে বড় হয়েছেন। ধীরে ধীরে বয়সভিত্তিক টিম থেকে ঢুকে পড়েছেন বাংলার রঞ্জি দলে। সেই কাইফেই চোখ রয়েছে গুজরাটের। এ বারই আইপিএলের নিলামে নাম লিখিয়েছিলেন সামির ভাই। কিন্তু অবিক্রিত থেকে যান। দাদার চোটই টিম পাইয়ে দিতে চলেছে কাইফকে। অবশ্য অন্য দুই পেসার কমলেশ নাগারকোটি ও থাম্পির দিকেও নজর রয়েছে গুজরাটের।

সামিই হাত ধরে বড় করেছেন কাইফকে। বাংলার জুনিয়র টিমে যখন খেলতেন, তখন ভাই কেমন পারফরম্যান্স করছেন, সে দিকে নজর ছিল সামির। লকডাউনের সময় থেকে দিনের পর দিন ভাইকে নিয়ে পড়ে থেকেছেন নেটে। দাদার পরিচর্যায় সুইং যেমন শানিয়েছেন কাইফ, তেমনই গতি এনেছেন বলে। রঞ্জি ট্রফিতে ভালো বোলিংও করেছেন। সেই কাইফ যদি সুযোগ পান, দাদা সামি নিশ্চিত ভাবেই ভাইকে আইপিএল-সাফল্যের মন্ত্র শেখাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × three =