মোদি-মমতা একই টিম, জানালেন সেলিম

‘বিজেপি – তৃণমূল এক, কেন্দ্র-রাজ্য এক। মোদি-মমতা একটাই টিম। তাঁরা একই দলের সদস্য,’ এভাবেই এদিন দুই দলের প্রতি তোপ দাগেন সেলিম। বাংলার আবাস যোজনার তালিকা নিয়ে অভিযোগ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় দল রাজ্যকে যে ক্লিনচিট দিয়েছে সেই প্রসঙ্গেই সোমবার এমনটাই প্রতিক্রিয়া সিপিআইএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের।

এদিন দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে সোমবার সকালে কোচবিহারে আসেন সিপিআইএম-এর রাজ্য সম্পাদক। অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইডি-তো অসহায়তা দেখাচ্ছে। রাজ্য পুলিশ দিচ্ছে না। লালুপ্রসাদ যাদবকে সিবিআই গ্রেপ্তার করার জন্য মিলিটারি নামিয়েছিল। যদিও মিলিটারি নামুক এটা আমি সমর্থন করি না। সাগরদিঘি নির্বাচনের জন্য ৩০ ব্যাটেলিয়ন কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। আসানসোলে কয়লা চুরি আটকানোর জন্য সিআইএসএফ আছে। যদিও তারপরেও বেশি কয়লা চুরি হয়। সীমান্তে গোরু পাচার আটকাতে বিএসএফের মতো এত ফোর্স আছে। নিয়ে যেতে পারে না? যাতে অনুব্রত হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট থেকে স্বস্তি পায়, তার জন্যই এসব নাটক। যেমন হয়েছে রুজিরা বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেলাতেও।’

পাশাপাশি এদিন আরএসএস নেতৃত্বের সঙ্গেও তৃণমূলের যোগসাজশের কথা তুলে ধরেন সেলিম। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘নাগপুরের নির্দেশেই ত্রিপুরায় তৃণমূল প্রার্থী দিয়েছিল। যাতে  তৃণমূল কিছু ভোট কাটলে বিজেপি বেশ কিছু আসনে জিতে যায়। সেটাই হয়েছে। পশ্চিমবাংলার মানুষ ত্রিপুরা থেকে শিক্ষা নেবে।’

কোচবিহারে তিনি কথা বলেন এখানকার স্থানীয় রাজনীতি নিয়েও। এই প্রসঙ্গে জানান, ‘কোচবিহারে প্রতিদিন গন্ডগোল হচ্ছে। যার বাড়ির সামনে তৃণমূল ধরনায় বসেছিল তিনি তো আগে তৃনমূলে ছিলেন। এখন বিজেপিতে গিয়েছেন। ফুটো মস্তান থেকে মন্ত্রী হয়েছেন। কাজেই এসব বলে লাভ নেই।’ ডিএ-এর অবস্থান বিক্ষোভে বিজেপি বিধায়কদের হেটে যাওয়া প্রসঙ্গে মহঃ সেলিম এও বলেন, ‘খবরে আসার জন্য ওরা সব কিছু করতে পারে। কালকে কালীঘাটেও যেতে পারে। যদিও এসব করে লাভ হবে না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight − 7 =