সদ্য এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। প্রতিযোগিতার অনবদ্য পারফরম্যান্স ভারতীয় বোলিং বিভাগের। আলাদা করে বলতে হয় এশিয়া কাপ ফাইনালের কথা। শ্রীলঙ্কা শিবিরে বিপর্যয় ডেকে আনেন ভারতের তরুণ তুর্কি মহম্মদ সিরাজ। ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই চার উইকেট। ম্যাচে সব মিলিয়ে ২১ রান দিয়ে ৬ উইকেট। ফাইনালের মঞ্চে তাঁর আগুনে বোলিংয়ে প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা মাত্র ৫০ রানেই গুটিয়ে যায়। ফাইনালে সেরার পুরস্কারও জিতে নেন মহম্মদ সিরাজ। শুধু তাই নয়, ক্রিকেট বিশ্বের মনও জেতেন। ফাইনালে ম্যাচের সেরার আর্থিক পুরস্কার তুলে দেন মাঠকর্মীদের। ধারাবাহিকতা এবং এশিয়া কাপে বিধ্বংসী পারফরম্যান্সের জেরে আইসিসি ক্রমতালিকাতেও ব্যাপক উন্নতি সিরাজের। মহম্মদ সিরাজ প্রথম বার আইসিসি বোলারদের ক্রমতালিকায় শীর্ষে এলেন তা নয়। গত মার্চে শীর্ষস্থান দখল করেছিলেন সিরাজ। যদিও অজি পেসার জশ হ্যাজলউডের কাছে শীর্ষস্থান হারান। এশিয়া কাপে ২১ রানে ৬ উইকেটের স্পেলে হারানো জায়গা পুনরুদ্ধার করলেন সিরাজ। এশিয়া কাপে সব মিলিয়ে ১২.২ গড়ে ১০ উইকেট নেন মহম্মদ সিরাজ। হ্যাজলউড, ট্রেন্ট বোল্ট, রশিদ খান, মিচেল স্টার্কদের মতো তারকাদের ছাপিয়ে শীর্ষে সিরাজ। বোলারদের তালিকায় প্রথম দশে রয়েছেন আর কুলদীপ যাদব। আইসিসি ব্যাটারদের ক্রমতালিকায় ব্যাপক উন্নতি প্রোটিয়া কিপার-ব্যাটার হেনরিখ ক্লাসেনের। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চতুর্থ ওডিআই-তে পাঁচ নম্বরে নেমে ১৭৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন ক্লাসেন। ২০ ধাপ উঠে নবম স্থানে রয়েছেন ক্লাসেন। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজে অনবদ্য পারফর্ম করেছেন ইংল্যান্ড ওপেনার দাবিদ মালান। কেরিয়ার সেরা ১৩ নম্বরে পৌঁছলেন। ব্যাটারদের ক্রমতালিকায় শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। দ্বিতীয় স্থানে শুভমন গিল। প্রথম দশে রয়েছেন বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা।