মঙ্গলবার দেওঘর বিমানবন্দরের (Deoghar Airport) উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আপাতত কেবল কলকাতা পর্যন্ত উড়ান চালু হলেও অচিরেই আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবাও শুরু হবে এখানে। জানা গিয়েছে, দেওঘর থেকে আকাশপথে কলকাতার দূরত্ব হবে মাত্র ৭৫ মিনিট। ২০১৮ সালের মে মাসে এই বিমানবন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। রাঁচির পরে এটাই ঝাড়খণ্ডের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ৪০১ কোটি টাকা খরচে তৈরি হয়েছে এই বিমানবন্দর।
Hon'ble PM Shri Narendra Modi inaugurated the Deoghar Airport in Jharkhand today, in the presence of Union Minister of Civil Aviation Shri Jyotiraditya M. Scindia, Hon'ble CM of Jharkhand Shri Hemant Soren, and Hon'ble Governor of Jharkhand Shri Rames Bais.
(1/2) pic.twitter.com/UqrUbrNV7m— Ministry of Tourism (@tourismgoi) July 12, 2022
মোদির হাত ধরে ঝাড়খণ্ডে দ্বিতীয় বিমানবন্দর দেওঘরের সূচনা হল এদিন। মোদি জানিয়েছেন, এই রাজ্যে আরও দুটি বিমান বন্দর নির্মাণ করা হবে। এবং তার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। একটি বোকারে ও অন্যটি দুমকাতে হবে। এদিন পূর্ব ভারতের এই রাজ্যে ১৬,৮০০ কোটি টাকার উন্নয়নমূলক প্রকল্পেরও সূচনা করেন মোদি। ১৩ টি মহাসড়ক প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই প্রকল্পগুলি ঝাড়খণ্ডে হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু বিহার ও পশ্চিমবঙ্গেরও এর সুবিধা হবে। গত আট বছরে আমরা এই রাজ্যের উন্নয়নের জন্য কাজ করে এসেছি। আজ ১৩ টি মহাসড়ক প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে।’ এদিকে দেওঘর বিমানবন্দরের উদ্বোধন ও মোদির রাজ্যে পদার্পণ ঘিরে সাজো সাজো রব দেখা যায় রাজ্য জুড়ে। মখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন মোদিকে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়ে রাজ্যে স্বাগত জানান। মোদির সফর ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নিশ্চিত করা হয়েছে।
এদিন ওই বিমানবন্দরের পাশাপাশি আরও বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এপ্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মোদি জানান, ‘বহুদিন আগেই আমরা দেওঘর বিমানবন্দরের স্বপ্ন দেখেছিলাম।’ সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘১৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকার এই উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির মাধ্যমে আমরা ঝাড়খণ্ডকে আরও গতিবান করে তুলতে পারব। এই প্রকল্পগুলি যে কেবল এখানকার মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতি কিংবা ব্যবসার সুযোগ বাড়াবে তাই নয়, আমরা ট্যুরিজমের সুযোগও তৈরি করতে পারব। পাশাপাশি শিল্পোদ্যোগের সুযোগও বাড়বে। এমনকী প্রতিবেশী রাজ্যগুলির উন্নয়নের সুযোগও বাড়বে।’
এদিন মোদির মুখে উঠে আসে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, ‘রাজ্যগুলির বিকাশের সঙ্গেই জড়িত রাষ্ট্রের বিকাশ। গত ৮ বছর ধরে এই চিন্তাভাবনাকে সঙ্গী করেই আমরা কাজ করছি। গত ৮ বছরে রাজপথ, রেলপথ, বায়ুপথ, জলপথ সর্বপথেই ঝাড়খণ্ডকে যুক্ত করার পিছনে এই ভাবনাই ছিল।’