জি২০ গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রগুলির শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই শীর্ষ সম্মেলনে প্রদত্ত ভাষণে ইউক্রেনের পরিস্থিতি থেকে শুরু করে বিশ্বজোড়া খাদ্যসংকট নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। মোদি বলেন, ‘আমাদের সকলের উচিত, শান্তি-শৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগুলি যত দ্রুত সম্ভব কার্যকর করা। ইউক্রেনের যা পরিস্থিতি, তাতে আমাদের সকলের উচিত ছিল সেখানে যুদ্ধবিরতি এবং শান্তি স্থাপন নিয়ে নিয়ে কোনও সমাধানের পথ বের করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সারা বিশ্ব সংকটের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছিল। তখন রাষ্ট্রনেতাদের সম্মিলিত প্রয়াসে শান্তি বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে। এখন এই দায়িত্ব আমাদের উপর বর্তেছে।’ শীর্ষ সম্মেলন চলাকালীন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ-র সঙ্গে পার্শ্ববৈঠকে বসেছিলেন মোদি। সেখানে খাদ্যসংকট এবং নবায়নযোগ্য শক্তি নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি।
ইউক্রেন ইস্যু ছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তন ও কোভিড মহামারির কারণে গোটা বিশ্ব যে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে এবং তার জেরে যে সরবরাহ শৃঙ্খলে প্রভাব পড়েছে সেকথাও তুলে ধরেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি এদিন বলেন, ‘গোটা বিশ্বেই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সংকট দেখা গিয়েছে। প্রত্যেক দেশের দরিদ্র নাগরিকদের সামনে অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জ। দৈনন্দিন জীবন এখন তাঁদের সংগ্রাম। এই আঘাতের মোকাবিলা করার জন্য তাঁদের আর্থিক সামর্থ নেই।’ মোদি এদিন আরও বলেছেন, ‘বলতে দ্বিধা নেই রাষ্ট্রসংঘের মতো বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠান এই ইস্যু মেটাতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা সকলে রাষ্ট্রসংঘের উপযুক্ত সংস্কার করতে ব্যর্থ হয়েছি। তাই এই জি২০ সম্মেলন থেকে বিশ্বের মানুষের অনেক প্রত্যাশা। এই পরিস্থিতিতে জি২০ গোষ্ঠীর প্রাসঙ্গিকতা আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরের বছর গান্ধি এবং বুদ্ধের পবিত্র ভূমিতে অর্থাৎ ভারতে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করা হবে। সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে বিশ্ব জুড়ে শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা করা হবে।’ প্রসঙ্গত, আগামী জি২০ সম্মেলন হওয়ার কথা ভারতে।