ভারতের প্রতি ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রীর ভালবাসায় মুগ্ধ মোদি

সমগ্রতা এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্রই ভারতীয়দের শক্তি। বিশ্বের তাবড় তাবড় নেতানেত্রীরা বরাবরই ভারতীয়দের শান্তিপ্রিয় মনোভাব ও কঠোর শ্রমের ক্ষমতার তারিফ করেন। কোপেনহেগেনে ভারতীয় সম্প্রদায়ের সামনে ভাষণ দেওয়ার সময় এমনটাই জানালেন মোদি (PM Modi)। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেট ফ্রেডরিকসন।

ইউরোপ সফরের দ্বিতীয় দিন ডেনমার্কে (Denmark) এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। রাজধানী কোপেনহেগেনের বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বাসভবনে বৈঠক করেন দুই রাষ্ট্রনেতা। বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা হয় তাঁদের মধ্যে। পরে ভারতীয় সম্প্রদায়ের সামনে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই ভাষণ দিতে দেখা যায় তাঁকে।

এদিনের ভাষণে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অকুণ্ঠ কৃতজ্ঞতা ও সৌহার্দ্য প্রকাশ করতে দেখা যায় তাঁকে। তিনি বলেন, ‘এদিনের অনুষ্ঠানে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেট ফ্রেডরিকসনের উপস্থিতি প্রমাণ করে দেয় ভারতের মানুষের প্রতি তাঁর ভালবাসা ও সম্মান কতটা।’ সেই সঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দেন, গত বছর করোনার প্রকোপে যখন আন্তর্জাতিক নেতানেত্রীদের সফর প্রায় থমকে গিয়েছিল, সেই সময় ফ্রেডরিকসন ভারতে এসেছিলেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিও সম্মান প্রদর্শন করেন ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রীও। তিনি বলেন, ‘এখানে আজ আপনাদের মাঝে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি আনন্দিত। ডেনমার্কে আমার বন্ধু প্রধানমন্ত্রী মোদিকে স্বাগত জানাতে পেরে আমি গর্বিত।’

প্রসঙ্গত, ত্রিদেশীয় সফরের দ্বিতীয় পর্যায়ে মঙ্গলবার ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেন পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিমানবন্দরে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডরিকসন। বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিজের বাসভবন ঘুরে দেখান ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডরিকসন এবং তাঁর শেষ ভারত সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপহার দেওয়া পট্টচিত্র চিত্র প্রদর্শন করেন।

মঙ্গলবার ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেনের সঙ্গে যৌথ বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আপনাদের এই সুন্দর দেশে আমার প্রথম সফর এবং অক্টোবরে আপনাকে স্বাগত জানানোর সুযোগ পেয়েছি আমি। এই দু’টি সফরই আমাদের সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা এনেছে। আমাদের দুই দেশের গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের মতো মূল্যবোধ তো রয়েছেই, পাশাপাশি আমাদের অনেক পরিপূরক শক্তিও রয়েছে।’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘২০২০ সালের অক্টোবরে ভারত-ডেনমার্ক ভার্চুয়াল সম্মেলনের সময়, আমরা আমাদের সম্পর্ককে সবুজ কৌশলগত অংশীদারিত্ব বলে আখ্যায়িত করেছি। আমাদের আজকের আলোচনার সময়, আমরা আমাদের পরিবেশ বান্ধব কৌশলগত অংশীদারিত্বের যৌথ কর্মপরিকল্পনাও পর্যালোচনা করেছি। আমি আনন্দিত যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে, বিশেষ করে নবায়নযোগ্য শক্তি, স্বাস্থ্য, বন্দর, শিপিং, বৃত্তাকার অর্থনীতি এবং জল ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ প্রগতি হয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × one =