করোনার (Coronavirus) সম্ভাব্য চতুর্থ ঢেউ রুখতে ফের স্কুলে স্কুলে বিশেষ টিকাকরণ কর্মসূচি গ্রহণের কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, করোনা মোকাবিলায় টিকাকরণকেই প্রধান হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করতে হবে। জোর দিতে হবে প্রিকশন ডোজে। রাজ্যগুলিকে প্রধানমন্ত্রী অনুরোধ করেছেন, গরমে অগ্নিকাণ্ড থেকে বাঁচতে আগে থেকে হাসপাতালগুলিতে অডিট করাতে হবে।
Speaking at a meeting with Chief Ministers. https://t.co/WyeQyQS0UQ
— Narendra Modi (@narendramodi) April 27, 2022
মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে মোদি জানান, দেশের প্রাপ্তবয়স্ক ৯৬ শতাংশ মানুষ করোনার অন্তত একটি ডোজ ইতিমধ্যেই পেয়ে গিয়েছেন। ১৫ বছরের বেশি বয়সিদের মধ্যে ৮৫ শতাংশ নাগরিক অন্তত দুটি করে ভ্যাকসিনের ডোজ পেয়ে গিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, দেশে ইতিমধ্যেই প্রিকশন ডোজ দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এখন প্রাপ্তবয়স্করা প্রিকশন ডোজ পেতে পারেন। রাজ্যগুলিকে মোদির পরামর্শ, দেশের সব নাগরিককে এবার প্রিকশন ডোজ নেওয়ার ব্যাপারেও উৎসাহ দিতে হবে। মোদির পরামর্শ, ‘ইনফ্লুয়েঞ্জার উপসর্গ দেখা গেলেও দ্রুত আরটি-পিসিআর (RT-PCR) টেস্ট করাতে হবে। পজিটিভ এলে জিনোম সিকোয়েন্সিং করাতে হবে। যাতে নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করা যায়।’
দীর্ঘদিন বাদে দেশে স্কুল খুলেছে। কিন্তু স্কুল খুলতেই নতুন করে যেভাবে করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্ব মুখে ওঠা শুরু করেছে, তাতে অভিভাবকরা চিন্তিত। তাঁদের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ, ‘স্কুল শুরু হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে নতুন করে করোনা বাড়ায় অভিভাবকরা চিন্তায়। ৬-১২ বছরের বাচ্চাদের দ্রুত টিকাকরণ আমাদের প্রাথমিক গুরুত্ব। মঙ্গলবারই শিশুদের কোভ্যাক্সিনে (Covaxine) ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আগের মতোই স্কুলে স্কুলে বিশেষ অভিযান চালানো হবে। আমাদের বিজ্ঞানীরা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন।’