২০১৪ সালে প্রথমবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েই নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) শুরু করেন ‘মন কি বাত’ (Mann Ki Baat)। দেখতে দেখতে ১০০ পর্বে পা দিল রেডিও অনুষ্ঠানটি। ২২ টি ভারতীয় ভাষা ও ১১টি বিদেশি ভাষা সম্প্রচারিত হল এদিনের ‘মন কি বাত’।
গত কয়েক দিন ধরেই প্রধানমন্ত্রীর রেডিও অনুষ্ঠান নিয়ে প্রচার তুঙ্গে ছিল। ‘মন কি বাত’ সম্প্রচারের কথা টুইট করে জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘও। রাষ্ট্রসংঘের ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল চেম্বারে প্রচারিত হয়েছে অনুষ্ঠানটি। সব মিলিয়ে কার্যতই দেশ তো বটেই, বিদেশেও ‘মন কি বাত’-এর ১০০তম পর্ব স্পর্শ করাকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ করা গিয়েছিল।
স্বাভাবিক ভাবেই এদিন বক্তব্য রাখার সময় রীতিমতো আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন মোদি। জানিয়ে দিলেন, এই অনুষ্ঠান তাঁর কাছে কোনও অনুষ্ঠান মাত্র নয়। তাঁর কাছে এই অনুষ্ঠান যেন এক পূজা। তাঁর মনের আধ্যাত্মিক যাত্রা। এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার কাছে ‘মন কি বাত’ ঈশ্বররূপী জনতা জনার্দনের চরণে প্রসাদের থালার মতো। ‘মন কি বাত’ আমার মনের আধ্যাত্মিক যাত্রা। ‘মন কি বাত’ স্ব থেকে সমষ্টিতে যাত্রা। ‘মন কি বাত’ অহম থেকে বয়মের দিকে যাত্রা।’
মোদি বলেছেন, ‘পঞ্চাশ বছর আগে আমি এই জন্য বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসিনি যে, এক দিন আমার নিজের দেশের মানুষের সঙ্গে কথা বলা দুরূহ হয়ে দাঁড়াবে। যে দেশবাসী আমার সব কিছু… যাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আমি বাঁচতে পারি না, তাদের সঙ্গে কথা বলতে পারব না! আমার এই সমস্যার সমাধান করেছিল ‘মন কি বাত’। সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করার পথ দেখিয়েছিল ‘মন কি বাত’।’
জনপ্রিয় এই অনুষ্ঠানের প্রতিটি পর্বেই দেশের বহু মানুষের সঙ্গে কথা বলেন মোদি। যাঁরা নিভৃতে দেশের মানুষের সেবা করে চলেছেন, এমন বহু অনামী মানুষের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। অনুষ্ঠানের পরে সেই মানুষগুলিও হয়ে উঠেছেন পরিচিত মুখ। এদিন তেমনই কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁদেরই অন্যতম হরিয়ানার সুনীল জাগলন। এছাড়া এদিন ইউনেস্কোর ডিরেক্টর জেনারেল আড্রে আজুলে বিশেষ বার্তা পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে।