মতুয়া মঞ্চ থেকে হিংসা-অরাজকতা বন্ধের বার্তা দিলেন মোদি

মতুয়াদের বার্ষিক উৎসবে ভার্চুয়াল শুভেচ্ছাবার্তা জানাতে গিয়ে ঘুরিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে বার্তা দিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। ‘কোথাও রাজনৈতিক হিংসা হলে রুখে দাঁড়ান’, সাফ বার্তা মোদির। তবে রাজ্যের মতুয়া (Matua Community) সমাজ যে বার্তার জন্য অপেক্ষা করছিলেন, সেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে এদিন মুখ খোলেননি প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সময়ে যখন হিংসা বাড়ছে, মানুষে মানুষে বিভাজন তৈরির চেষ্টা হচ্ছে, তখন হরিচাঁদ ঠাকুরের (Harichand Thakur) দর্শন সমাজের জন্য প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, জোর করে কারও রাজনৈতিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করাটা সংবিধান বিরুদ্ধে। তাই রাজনৈতিক হিংসা এবং অরাজকতার বিরুদ্ধে সবার সরব হওয়া উচিত। রামপুরহাট কাণ্ড তথা রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

মতুয়াদের মন পেতে এদিন প্রধানমন্ত্রী ভাষণ শুরু করেন বাংলায়। গত বছর ওড়াকান্দি সফরের প্রসঙ্গ তুলে আনেন তিনি। একাধিকবার তাঁর মুখে শোনা যায় মতুয়াদের সংস্কৃতির কথা। উঠে আসে মতুয়া সম্প্রদায়ের জীবন দর্শনের কথা। মতুয়াদের উন্নয়নে কেন্দ্র সর্বদা সচেষ্ট, রাজ্য সরকারকেও উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে, দাবি করেন মোদি। তবে, সবকিছু থাকলেও সিএএ প্রসঙ্গ সুকৌশলে এড়িয়ে গিয়েছেন  প্রধানমন্ত্রী।

মতুয়া সমাজের থেকে তিনি অনেক কিছু শিখেছেন বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বর্তমানে ভারতীয় সমাজে বিভাজনের অপচেষ্টা চলছে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই সময়ে হরিচাঁদ ঠাকুরের দর্শনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি আমরা।’ নারীশিক্ষা প্রচারে হরিচাঁদের ভূমিকার কথাও এসেছে তাঁর বক্তৃতায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × 5 =