সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রোজগার মেলায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৫১ হাজার কর্মীদের নিয়োগপত্র বিতরণ করেছেন। রাষ্ট্রীয় রোজগার মেলা-র অধীনেই এদিন ৫১ হাজার পুরুষ ও মহিলাকে পুলিশ, সেনা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে চাকরির নিয়োগপত্র দিলেন প্রধানমন্ত্রী। আর ‘স্বাধীনতার অমৃতকাল’ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী এই নিয়োগের নাম দিলেন ‘অমৃত রক্ষক’। যা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করল কংগ্রেস।
Speaking at the Rashtriya Rozgar Mela. Congratulations to the newly inducted personnel who would be serving in the various Forces. https://t.co/aGAkXeRmCQ
— Narendra Modi (@narendramodi) August 28, 2023
মূলত, পুলিশ কনস্টেবল (জেনারেল ডিউটি), সাব-ইন্সপেক্টর (জেনারেল ডিউটি) এবং নন-জেনারেল ডিউটি ক্যাডার পোস্টে নিয়োগ করা হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফেই সিএপিএফ, সিআরপিএফ, বিএসএফ, এসএসবি, সিআইএসএফ, আইটিবিপি, অসম রাইফেলস এবং দিল্লি পুলিশের বিভিন্ন বিভাগেই কর্মী নিয়োগ করা হয়।
এদিন সেনা ও পুলিশ বিভাগে চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য ক্ষেত্রেও কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘আগামী দিনে গাড়ি, ওষুধ, পর্যটন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্ষেত্রে ব্যাপক হারে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতে চলেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এই সমস্ত ক্ষেত্রে ১৩ কোটির বেশি নতুন চাকরির সুযোগ আসতে পারে। বিশেষত, গাড়ি ও ওষুধ ক্ষেত্রে তরুণদের জন্য প্রচুর সুযোগ আসতে চলেছে।’ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, ৪৫টি জায়গায় রাষ্ট্রীয় রোজগার মেলা হবে বলেও সূত্রের খবর।
প্রধানমন্ত্রীর এই নিয়োগপত্র দেওয়া নিয়ে কটাক্ষ করে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ টুইটে জানান, বছরে ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। এখন লোকসভা ভোটে হারের আতঙ্কে ভুগছে মোদি। তাই রোজগার মেলার নামে এই বৃহত্তম জুমলা।
After failing to fulfill his grand promise of creating 2 crore jobs per year.
After destroying the MSME sector with demonetisation, a badly designed GST and an ill-planned sudden lockdown.
After betraying the hope of aspirational youth for more than 9 years, the Prime…
— Jairam Ramesh (@Jairam_Ramesh) August 28, 2023
জয়রাম আরও উল্লেখ করেন, আগেই অনুমোদিত প্রশাসনিক এবং আর্থিক কারণে আটকে থাকা পদগুলিতে এখন নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। তাঁর কটাক্ষ, প্রমোশনের চিঠিও দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। এমন ভাব করা হচ্ছে যেন যাবতীয় নিয়োগ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত দয়ায়। অথচ দেশে বেকারি বেড়েই চলেছে। অতএব, গোটা বিষয়টি ভোটের আঁচ পেয়ে মোদির নির্লজ্জ আত্মপ্রচার ছাড়া কিছুই নয়।
টুইটে মোদি সরকারের ধারাবাহিক ব্যর্থতার কথা তুলে ধরে কংগ্রেস নেতা লেখেন, ‘নোটবন্দি করে ধ্বংস করা হয়েছে ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের। এর পর অপরিকল্পিত জিএসটি এবং আকস্মিক লকডাউন। ৯ বছরেরও বেশি সময় ধরে উচ্চাকাঙ্ক্ষী তরুণদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার পর এখন নির্বাচনের আঁচ অনুভব করছেন প্রধানমন্ত্রী।’