কলকাতা: কালীপুজোর দিনেই ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রূকূটি। ধেয়ে আসছে সিত্রাং। সকাল থেকেই ঝিরিঝিরি বৃষ্টি, দমক হাওয়া। এক ধাক্কায় গরমও উধাও। সকলেরই প্রার্থনা, খুশির মরসুমে বিপদ নিপাত যাক।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শুধু দুই ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।প্রবল ঝড় কলকাতা বা আশপাশের জেলায় ধেয়ে আসার সম্ভাবনা নেই। যদিও, আজ, সোমবার ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। দুই ২৪ পরগণায় সন্ধে ও রাতে সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইতে পারে। হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুরে ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফেরি পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর, কলকাতা, হাওড়া, হুগলির উপকূলবর্তী এলাকাতে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে।নদিয়া, মুর্শিদাবাদেও মাঝারি বৃষ্টি হবে সিত্রাং-এর প্রভাবে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এখন উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। সাগর থেকে মোটামুটি ৩৭০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। বাংলাদেশের বরিশাল থেকে দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্ব দিকে ৫২০ দূরে রয়েছে সিত্রাং। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাষ, আগামী ১২ ঘণ্টা ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে সিত্রাং। বরিশালের কাছে তিনকোণা দ্বীপের ওপর দিয়ে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করে ২৫ অক্টোবর সকালে আছড়ে পড়বে সিত্রাং।
সোমবার সকালে ৩৮ কিলোমিটার বেগে আলিপুরে ঝোড়ো হাওয়া নথিভুক্ত হয়েছে।ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দুই ২৪ পরগনার উপকূল এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। ২৫ অক্টোবর সকালে দুই ২৪ পরগণার বিস্তীর্ণ অংশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। দুই ২৪ পরগনায় ৭০-৯০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণাতে এই ঘূর্ণিঝড়ের সব থেকে বেশি প্রভাব পড়বে।
২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ওই দিন দুপুরের পর থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে।বাংলাদেশ সংলগ্ন সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ এলাকায় ঝড়ের কারণে কাঁচা বাড়ি ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং ফসলের ক্ষতি হতে পারে।