কলকাতা:সিরিয়াল, মডেলিং করে হাতে নগদ আসতেই বৈভবের জীবন! পরে কাজের অভাবে সেই জীবন-যাপন বইতে না পারার হতাশা নাকি সম্পর্কের জটিলতা! প্রেমে আঘাত?গড়ফায় অভিনেত্রী পল্লবী দের মৃত্যুর পর উঠতি মডেল বিদিশা দের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে উঠছে এমই প্রশ্ন।
জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধেবেলা নাগেরবাজারের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে উঠতি মডেল বিদিশা দে মজুমদারের ঝুলন্ত দেহ (Bidisha Death)। প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে, আত্মহত্যাই করেছেন বিদিশা। উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোটও। যদিও সেখানে কী লেখা রয়েছে তা এখনই প্রকাশ্যে আনতে না-রাজ পুলিশ। অভিনেত্রী পল্লবী দে-র মৃত্যুর পরেই একুশ বছর বয়সি এই মডেলের রহস্যমৃত্যু নিয়ে আপাতত টলিউডে তোলপাড় চলছে। এর মধ্যেই প্রশ্ন উঠছে, গত কয়েক দিন ধরেই কি বিদিশা আত্মহত্যার মানসিক ‘প্রস্তুতি’ নিচ্ছিলেন?
‘বিদিশা দে মজুমদার অফিসিয়াল’ ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ঘাঁটলে দেখা যাচ্ছে সাত দিন আগে নিজের বাবা-মায়ের ছবি পোস্ট করেছিলেন এই মডেল। ছবিটি দেখলেই বোঝা যাচ্ছে কোনও এক বছর পুজোর সময়ে প্যান্ডেলে তোলা। দুর্গা প্রতিমার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বিদিশার বাবা-মা। সেই ছবি দিয়ে সাত দিন আগে বিদিশা লিখেছিলেন, ‘মিস ইউ।’ বন্ধুবান্ধব, ঘনিষ্ঠরা অনেকেই মনে করছেন হতাশায় বিপর্যস্ত হয়ে আত্মহত্যার জন্য তিলে তিলে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এই তরুণী।
বিদিশা নৈহাটির মেয়ে। ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন নাগেরবাজারে। দূরত্ব বেশি নয়। চাইলেই বাড়ি যেতে পারতেন। কিন্তু অনেকে মনে করছেন, মানসিক ভাবে বিদিশা হয়তো এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিলেন তাতে স্বাভাবিক বিষয় থেকে তিনি সরে গিয়েছিলেন অনেকটা দূরে। নিজের মননে অন্য একটা জগত গড়ে নিয়েছিলেন হয়তো। যেখানে হয়তো মৃত্যুই ছিল অমোঘ।
ইতিমধ্যেই বিদিশার সঙ্গে তাঁর জিম ট্রেনার বন্ধু অনুভব বেরার সম্পর্ক জটিলতা আসতে শুরু করেছে। অনুভব মেদিনীপুরের ছেলে। তাঁর প্রতি বিদিশা প্রেমে আচ্ছন্ন ছিলেন বলেও জানা যাচ্ছে ঘনিষ্ঠদের কথায়। যে তরুণী পল্লবীর মৃত্যুর পরে অবাক হয়েছিলেন, লিখেছিলেন ‘মানে এসব কী? মানতে পারলাম না!’ তাঁরই এমন রহস্যমৃত্যু নাড়া দিয়ে যাচ্ছে অনেককেই।