তৃণমূলে যোগ আলিপুরদুয়ারের বিধায়কের

ফের বিজেপিতে ভাঙন। এবার তৃণমূলে যোগ দিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল যে ফুল বদল করতে চলেছেন এমনটা কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল কয়েকদিন ধরেই। অবশেষে রবিবার তিনি ফুল বদল করলেন বলেই টুইট করে জানানো হয় সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে।সঙ্গে এও জানানো হয়, রবিবার কলকাতায় তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে এসে যোগদান করেন বলে জানা গিয়েছে। যদিও এই যোগদান নিয়ে এখনও সুমন কাঞ্জিলালের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই যোগদান যে বিজেপির অন্দরে বড় ধাক্কা, তেমনটাই ধারনা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। কারণ, বিধানসভায় বিজেপির ভাল বক্তাদের মধ্যে প্রথম সারিতে নাম রয়েছে এই সুমন কাঞ্জিলালের।

এখানে একটা কথা বলতেই হয়, মাস দেড়েক আগে যখন একের পর এক ‘ডেডলাইন’ দিচ্ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সে সময় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও শোনা যায়, ‘দরজা খোলা’র কথা। বিজেপিক বেশ হুঁশিয়ারির সুরেই জানান, ‘দরজা খুললে বিজেপি দলটাই আর থাকবে না।’ এদিকে গত কয়েকদিন ধরে বেশ কয়েকজন বিজেপি বিধায়কের তৃণমূলে যোগদানের জল্পনা শোনা যাচ্ছে।এই তালিকায় আলিপুরদুয়ার জেলার বিধায়কদের নাম নিয়েও জল্পনা রয়েছে। এই জল্পনার আবহে সুমন কাঞ্জিলালের ঘাসফুলে যোগদান নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। আলিপুরদুয়ার সেই জেলা, যেখানে একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপি দখলে নেয় সমস্ত আসন। এবার সে জেলায় ভাঙন বিজেপির। এদিন সুমনের বিজেপি ছেড়ে যোগদানের পর বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠে গেল, তৃণমূল দরজা খোলা শুরু করল কি না তা নিয়ে।

যদিও এই যোগদান প্রসঙ্গে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য জানান, ‘একুশের ভোটের আগে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে মানুষ আমাদের দলে এসেছেন। বেশিরভাগই আমাদের সঙ্গে আছেন। তবে কেউ কেউ হয়ত আমাদের প্রতীকে জিতেও চাপের কাছে, প্রলোভনের কাছে, ক্ষমতার অলিন্দে স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে চেয়ে চলে গিয়েছেন। এতে রাজনৈতিকভাবে সামগ্রিক কোনও প্রভাবে দলে পড়েনি।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × five =