বালি, কয়লা গোরু, রেশন, শিক্ষা চুরি, তৃণমূলকে নিশানা মিঠুনের

নিজস্ব প্রতিবেদন, আউশগ্রাম: বালি, কয়লা, গোরু, শিক্ষা, রেশন চুরি করে না বিজেপি, বিজেপি স্বচ্ছ পার্টি। বিপক্ষে একটা পার্টি আছে দুর্নীতি আর দুর্নীতি। ওরা বালি, কয়লা গোরু, রেশন, শিক্ষা চুরি করে বলে তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করলেন মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘আপনারা ভাবুন কাকে ভোট দেবেন। ওরা যা দিচ্ছে সব নিয়ে নিন। ওসব আপনাদেরই পয়সা। আপনারই পয়সা আপনাকে দিচ্ছে, আসলে ঘুরিয়ে নাক দেখাচ্ছে। কিন্তু ভোটটা বিজেপিকে দিন।’ এই ভাবেই নির্বাচনী প্রচার সারলেন মিঠুন।
বুধবার পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের অভিরামপুরে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়া সাহার সমর্থনে জনসভায় উপস্থিত ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘মুসলমান ভাইবোনদের বলছি বিজেপি মুসলমানদের বিরুদ্ধে নয়। দাঙ্গা করে না বিজেপি। কিন্তু সত্যি যদি আমরা দাঙ্গা করি তা হলে কিছুই থাকবে না। আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটি বলেছে আমরা মানুষের রাজনৈতিক সমর্থন নিয়ে জিতব। আমাদের এখানে কেউ স্ক্যাম করলে আমরা এক মিনিটও ভাবি না। আমি দেওয়ার লোক, ™াওয়ার লোক নই। বিজেপি কার্যকর্তাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে থাকব। আজকাল অনেক নতুন ভোটার হয়েছে, মোদি গ্যারান্টির ওপর ভরসা করুন। দশ বছর ধরে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিছু পান ন। সিএএ নাগরিকত্ব নেওয়ার নয়, দেওয়ার আইন। অর্থাৎ সিএএ নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়। নাগরিকত্ব দেবে। ভুল বোঝাচ্ছে তৃণমূল।’
এদিন তীব্র দাবদাহের মধ্যেও মিঠুন চক্রবর্তী বেশ খোশমেজাজে ছিলেন মঞ্চে। এক ভক্ত তাকে জিজ্ঞাসা করেন, চশমা পড়ে থাকেন কেন। তিনি তৎক্ষনাৎ চশমা খুলে দিয়ে হেঁয়ালির ছলে বলেন, ‘আমার চোখগুলো খুব সুন্দর। তারপর তিনি বিভিন্ন সিনেমার ডায়লগের পাশাপাশি নিজের লেখা গানও গেয়ে শোনান মঞ্চে।
হেলিকপ্টারে ওঠার আগে কুণাল ঘোষকে দলের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, ‘নর্দমা, ও নিয়ে কিছু বলব না।’ ১৫ লক্ষ ইভিএম সরিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে মমতার অভিযোগ নিয়ে মিঠুন বলেন, ‘আগেই বলেছি। ওঁর মাথার ঠিক নেই। যা ইচ্ছে বলুক, বলতে দিন।’ অন্যদিকে আসানসোল বিক্ষোভ নিয়ে তিনি বলেন,‘আমার দোষ, আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমার শরীর খারাপ। আমার পা কাঁপছে, পরে একদিন যাব।’ এসএসসির চাকরিহারা নিয়ে প্রশ্ন করতেই মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, ‘আর একটা বড় স্ক্যাম আছে। অদ্বিতীয়া বলে একটি মেয়ে আছে, ব্লগ করেছে, একটুখানি দেখে তারপরে বলবেন। আমি কিছু বলছি না।’
১৪ সালের চাকরি প্রার্থীদের প্যানেল নিয়ে তিনি বলেন, ‘ভুল করে থাকলে তো তার সাজা পেতে হবে। ভুল না করলে কিছু হবে না।’ গোটা বিষয়টি মমতা ব¨্যােপাধ্যায় কিছু জানতেন না প্রশ্ন করায় উত্তরে বলেন, ‘আমার মাথা ঘুরছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten + 8 =