মার্শ-শার্দুল জুটিতে পঞ্জাবকে হারিয়ে প্লে অফের আশা জিইয়ে রাখল দিল্লি

আইপিএলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে জেতার জন্য পঞ্জাব কিংসের টার্গেট ছিল ১৬০ রান। ঝোড়ো শুরুর পরও ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান তুলতে সক্ষম হল ঋষভ পন্থের দল দিল্লি ক্যাপিটালস। মিচেল মার্শ সর্বাধিক ৬৩ রান করেন। লিয়াম লিভিংস্টোন ও অর্শদীপ সিং নেন তিনটি করে উইকেট। ডেথ ওভারে দুরন্ত বোলিং করায় দিল্লিকে ১৬০-এর কমেই বেঁধে ফেলল ময়াঙ্ক আগরওয়ালের দল।

খাতা খুলতে পারেননি ডেভিড ওয়ার্নার। প্লে-অফের জটিল অঙ্কের দোলাচলে ছিল দু’দলই। জয় ছাড়া বিকল্প ছিল না। এই দমবন্ধকরা পরিস্থিতিতেই সোমবার ডি ওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে পঞ্জাব কিংসের মুখোমুখি হয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। স্বাভাবিকভাবেই একে অপরকে কড়া চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত মায়াঙ্ক আগরওয়াল-ঋষভ পন্থরা।১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট পেয়ে টেবিলে পাঁচ নম্বরে ছিল দিল্লি। সমসংখ্যক ম্যাচে সমান পয়েন্ট পঞ্জাবেরও। তবে রান রেটে পিছিয়ে সপ্তম স্থানে মায়াঙ্করা। চলতি মরশুমে দু’দলই ধারাবাহিকতার অভাবে ভুগছে। যদিও গত ম্যাচে আরসিবিকে দাপটে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছিল পঞ্জাব। বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে জনি বেয়ারস্টোর ফর্মে ফেরাও স্বস্তিতে রেখেছিল কোচ অনিল কুম্বলের ছাত্রদের।

এছাড়া রানের মধ্যে ছিলেন ওপেনার শিখর ধাওয়ান। পক্ষান্তরে শেষ ম্যাচে শক্তিশালী রাজস্থানকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে দিল্লিও। রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা খারাপ করেনি জনি বেয়ারস্টো এবং শিখর ধাওয়ান। বেয়ারস্টো (২৮) করে ফিরে গেলেন নখিয়ার বলে। শিখর ধাওয়ান (১৯) বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ। ভানুকা রাজাপক্ষে (৪) বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না।প্রশংসা করতে হয় কুলদীপ যাদবের। দুটি স্বপ্নের ডেলিভারিতে ফিরিয়ে দিলেন লিভিংস্টোন এবং হরপ্রীতকে। অক্ষর প্যাটেল নিলেন দুটি উইকেট। পঞ্জাবের হয়ে একটা শেষ চেষ্টা চালিয়েছিলেন জিতেশ। কিন্তু সেটা যথেষ্ট ছিল না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen + 3 =