নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করে লালবাতি জ্বালিয়ে প্রচার করার অভিযোগ মন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মনের বিরুদ্ধে

নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মনের বিরুদ্ধে। ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগে সরব বিরোধী দলগুলি। বিরোধীদের অভিযোগ, নির্বাচনের কোড-অফ- কন্ডাক্টকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা হেমতাবাদ বিধানসভার বিধায়ক সত্যজিৎ বর্মন গাড়িতে লালবাতি ও হুটার বাজিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ভোট প্রচারে যাচ্ছেন। যা নির্বাচনী বিধিকে লঙ্ঘন করে।
উল্লেখ্য, দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন, গ্রামে গ্রামে বিভিন্ন দলের প্রচার শুরু জোরকদমে, শাসক থেকে বিরোধী কোনও দলই পিছিয়ে নেই, এরই মধ্যে দেখা গেল হেমতাবাদ বিধানসভার বিধায়ক তথা শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মন লাল বাতি সঙ্গে নিয়ে প্রচারে বেরিছেন। যা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে বিরোধী দলে। বেশ কয়েকদিন থেকেই বিভিন্ন এলাকায় প্রচার করছেন তিনি। দিদির উন্নয়নকে সামনে রেখে ভোট চাইছেন দলের হয়ে। কি কি উন্নতি হয়েছে সে কথা মনে করাচ্ছেন সাধারণ মানুষকে। এই লালবাতি নিয়ে ভোট প্রচারকে অনৈতিক বলে দাবি করেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার, তিনি জানান, রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মন নিজের মন্ত্রিত্বের অপব্যবহার করে লালবাতি লাগিয়ে মন্ত্রিত্বের ক্ষমতা দেখিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট সেটাকে ভাওলেট করেছে। উনি এই ধরনের কাজ করবেন সেটা খুব স্বাভাবিক, ওনার এবং ওনার স্ত্রীর ক্রিমিনাল রেকর্ড রয়েছে, বিদ্যুৎ চুরি, পুকুর খনন। তিনি আরও বলেন, মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তারা অবশ্যই নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাবেন। তিনি বলেন, কোনো মন্ত্রী লালবাতি নিয়ে ভোট প্রচার করতে পারেন না।
একই অভিযোগ জেলা বাম নেতৃত্বের। সিপিআইএমের জেলা সম্পাদকীয় মণ্ডলীর সদস্য উত্তম পাল বলেন, রাজ্য মন্ত্রিসভার শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মনের স্ত্রী ১৫ নং জেলা পরিষদের আসনে তৃণমূল প্রার্থী। সত্যজিৎ বাবু তার স্ত্রীর হয়ে প্রচার করতেই পারেন। তবে লাল বাতি জ্বালিয়ে হুটার বাজিয়ে কোনও মন্ত্রী দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারে না। এরফলে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। আমরা নির্বাচন কমিশনে তার নির্বাচন বিধি উলঙ্ঘনের অভিযোগ জানাব।
অন্যদিকে সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মন বলেন, বিরোধীদের কোর্টে যেতে বলুন, তারা কথায় কথায় তো কোর্টে যায়। তিনি একজন বিধানসভার বিধায়ক রাজ্যের মন্ত্রী, তিনি যেখানে যাবেন পাইলট চলে আসে। তিনি বলেন, বিধানসভার নির্বাচনের ক্ষেত্রে লালবাতি হয়তো নাও পেতে পারেন কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি প্রচার করছেন না জনসভাও করছেন না। পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন। তিনি এই পঞ্চায়েতে জয় নিয়েও যথেষ্ট আশাবাদী।
অপরদিকে, রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতি বলেন, এখনও তেমন কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। অভিযোগ জমা পরলে, তদন্ত করে নির্বাচনের গাইডলাইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

10 + six =