রায়গঞ্জ: শনিবার রাতে জাতীয় সড়কে অভিযান চালিয়ে বড়সড় সাফল্য পেল রায়গঞ্জ বনবিভাগ। পাচার করা হচ্ছিল মূল্যবান বার্মাটিক সেগুন কাঠ। ফিল্মি কায়দায় পিছু ধাওয়া করে ইটাহারে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে কাঠ বোঝাই লরিটি আটক করল রায়গঞ্জ বনবিভাগের কর্মীরা। উদ্ধার করা হল লক্ষ লক্ষ টাকার মূল্যবান বার্মাটিক সেগুন কাঠ। গ্রেপ্তার করা হয় লরির চালককে।
বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে সূত্র মারফত খবর আসে, শিলিগড়ি থেকে হরিয়ানার নম্বরের একটি লরিতে বাঁশের টুকরোর খাঁজে খাঁজে পাচার করা হচ্ছিল অতি মূল্যবান বার্মাটিক সেগুন কাঠ। শিলিগুড়ির দিক থেকে কলকাতার দিকে পাচার করা হচ্ছিল সেগুলো। গোপন সূত্রে এই খবর পেয়ে রায়গঞ্জ বনবিভাগের আধিকারিক ও কর্মীরা রায়গঞ্জ শহর লাগোয়া জাতীয় সড়কে নজরদারি শুরু করে। শনিবার বিকেল নাগাদ প্রথমে লরিটিকে চিহ্নিত করে রায়গঞ্জ শহরের শিলিগুড়ি মোড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে। কিন্তু লরি বোঝাই বাঁশের টুকরো এবং লরির ওভারলোড ও ওজন দেখে তাদের সন্দেহ হলে শিলিগুড়ি মোড় থেকেই বনদপ্তরের কর্মীরা পিছু নিতে শুরু করে লরিটির। রায়গঞ্জ থেকে ইটাহার পর্যন্ত ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে তাড়া করে লরিটিকে টপকে জাতীয় সড়কেই লরিটিকে আটকে দেয় বনবিভাগের অফিসারেরা। এরপর শুরু করে লরির তল্লাশি। বাঁশের খাঁজে খাঁজে সযত্নে লুকিয়ে বার্মাটিক সেগুন কাঠ বেরিয়ে আসে। লরিটিকে বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে আসা হয় কর্নজোড়ায় বন বিভাগীয় আধিকারিকের দপ্তরে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে লরির চালককে। তাকে রায়গঞ্জ থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
রায়গঞ্জর ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার কমল সরকার জানিয়েছেন, ‘লরিতে থাকা কাগজ দেখে জানা গিয়েছে এগুলো অন্ধ্রপ্রদেশের কার্নালে সরবরাহ করা হওয়ার কথা ছিল। শনিবার রায়গঞ্জের শিলিগুড়ি মোড় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে পিছু ধাওয়া করে ইটাহারের কাছে লরিটিকে আটক করা হয়েছে। বার্মাটিক সেগুন কাঠগুলোর আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা বলে জানিয়েছেন ডিএফও। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।’