দুধ সহ্য হয় না! কোন খাবারে ঘাটতি পূরণ ক্যালসিয়ামের?

দুধ না খেলে হবে না ভালো ছেলে।

                    –চন্দ্রবিন্দু

ব্যান্ডের এই গানের লাইন প্রত্যেক ঘরেই মায়েরা তাঁদের সন্তানকে বোঝান। দুধ দেখলে নাক সিঁটকায় এমন বাচ্চা নেহাত কম নয়। সমস্যা রয়েছে আরও। অনেক শিশু এবং বড়রাও দুধ হজম করতে পারেন না। সেক্ষেত্রে অনেক ডাক্তারই বাচ্চাদের দুধ বা দুধ জাতীয় খাবার দিতে বারন করেন।

কিন্তু দুধ হল এমন পানীয় যাতে উচ্চ মাত্রার ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ। বিশেষত এই ক্যালসিয়াম বাচ্চাদের হাড়ের গঠনে খুব দরকারি। ক্যালসিয়ামের অভাবে বড়দেরও হাড়ের ব্যথা, হাড় ক্ষয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।

কিন্তু দুধ না খেতে চাইলে বা দুধ খাওয়া বারণ হলে কীভাবে পূরণ হবে সেই ঘাটতি। জেনে নিন আর কোন খাবারে আছে ভরপুর ক্যালসিয়াম।

সিডস বা বীজ-চিয়া সিড থেকে তিল, সেলেরি, পোস্ত এগুলো খেলেই কিন্তু শরীরে ঢুকবে ক্যালসিয়াম।পাশাপাশি এতে রয়েছে নানারকমের পুষ্টিকর উপাদান। স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। যা শরীরের জন্য খুব উপযোগী।

চিজ- চিজ পছন্দ করে না এমন বাচ্চা দেখা যায় না। তাই চিজ স্যান্ডুইচ থেকে রকমারি খাবারে চিজ ব্যবহার করুন। চিজ-এ আছে হাই প্রোটিন, ক্যালসিয়াম।

দই- বাচ্চা থেকে বড় দই খাবারের তালিকায় রাখা মানে শরীর ভালো রাখা। দইতে ক্যালসিয়াম তো আছেই পাশাপাশি প্রো বায়োটিক। যা পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এছাড়া দই পটাসিয়াম, ফসফরাস ও কয়েকটি ভিটামিনেরও চাহিদা মেটায় শরীরে।

সোয়াবিন- সোয়াবিনে রয়েছে যথেষ্ট ক্যালসিয়াম। সঙ্গে প্রোটিন। তাই সোয়াবিন রাখুন বাচ্চা থেকে বড় সকলেরই খাবার তালিকায়।

সার্ডিন, স্যামন ও সামুদ্রিক মাছ- মাছে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাসের পাশাপাশি থাকে ওমেগা থ্রি। যা শরীরের জন্য খুব ভালো।

কড়াই ও ডাল-বিভিন্ন ধরনের কড়াই ও ডালে রয়েছে নানা প্রকার পুষ্টিগুণ। ডাল ও কড়াই শরীরে প্রোটিনের জোগান দেয়। ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করে।

আমন্ড- শুধু ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ নয় আমন্ড-সহ বিভিন্ন বাদামে আছে গুড ফ্যাট ও নানা ধরনের ভিটামিন, খনিজ।

শাক-সব্জি- ক্যালসিয়ামের অন্যতম উত্স কিন্তু সবুজ শাক ও তরতাজা সবজি। পালং থেকে বিভিন্ন শাক ও সবজিতে রয়েছে ক্যালসিয়াম।

ডুমুর-পেঁপে- ডুমুর, পেঁপে, কমলালেবুতেও রয়েছে ক্যালসিয়াম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × two =