ব্লগার, লেখক অভিজিৎ রায়কে খুনে দোষী সাব্যস্ত দুই জঙ্গি আদালতে পুলিশি ঘেরাটোপ থেকে পালিয়ে গেল। রবিবার এই দু’জনকে অন্য একটি মামলার শুনানিতে ঢাকার সিজেএম আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। জনাকীর্ণ আদালত চত্বর থেকেই কীভাবে হাইপ্রোফাইল দুই আসামি পালিয়ে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
পুলিশের চোখে গোলমরিচ স্প্রে করে, কিল-ঘুসি মেরে, আদালত প্রাঙ্গণ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হল মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত দুই আসামি – মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামির ও মহম্মদ আবু ছিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিবকে। রবিবার, ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী রইল বাংলাদেশ। ঘটনাটি ঘটেছে এদিন দুপুরে, ঢাকা শহরের রায়সাহেব বাজার মোড়ের কাছে অবস্থিত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান দ্বারের সামনে। এই ঘটনার পর, গোটা বাংলাদেশে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার মহম্মদ হারুন অর রশিদ জানিয়েছেন, একটি মামলার শুনানির শেষে আদালত থেকে হাজতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ওই দুই হাই প্রোফাইল বন্দিকে। কিন্তু, আদালত ভবনের বাইরেই অপেক্ষা করছিল ওই জঙ্গিদের সঙ্গীরা। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মহম্মদ ফারুক হোসেন জানিয়েছেন, এই বিষয়ে জঙ্গিরা আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিল। আদালত চত্বরেই তারা দুটি মোটরসাইকেল প্রস্তুত রেখেছিল। সেই মোটরসাইকেলে করেই তারা পালায়।
পুলিশ জানিয়েছে, আদালত চত্বরের আশপাশেই কোনও এলাকায় লুকিয়ে আছে আসামিরা বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাই ওই এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি চলছে। আদালতের আশপাশের একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখা হচ্ছে। রাজধানী ঢাকা-সহ বাংলাদেশের বিভিন্নস্থানে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।