এবার ধীরে ধীরে চালু হতে চলেছে শহরের একের পর এক মেট্রোর রুট। জোকা-তারতলার পর এবার কবি সুভাষ থেকে মেট্রো চলবে রুবি পর্যন্ত। আর তা শুরু হয়ে যাচ্ছে চলতি মাসেই অর্থাৎ ফেব্রুয়ারিতেই। রুবি মোড়ে অবস্থিত মেট্রো স্টেশনটির নাম রাখা হয়েছে হেমন্ত মুখার্জি স্টেশন। কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির তরফ থেকে মঙ্গলবারই এই অনুমতি মিলেছে। সম্প্রতি কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি এই করিডরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসেছিলেন। তারপরই মিলল এই অনুমতি, মঙ্গলবার এমনটাই জানান মেট্রো রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার অরুণ অরোরা। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে তিনি এও জানান, কলকাতা বিমানবন্দর পর্যন্ত মেট্রো করিডরের কাজও চলছে। এই করিডরে আপাতত রুবি পর্যন্ত মেট্রো চালু হবে। ধীরে ধীরে এগিয়ে যাবে এই কাজ। আর এরই হাত ধরে ধাপে ধাপে মেট্রো স্টেশনগুলির বাকি কাজ শেষ হলেই গড়িয়া থেকে কলকাতা বিমানবন্দর পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা শুরু হয়ে যাবে। কলকাতার একপ্রান্তর সঙ্গে আর এক প্রান্ত যুক্ত হবে চোখের নিমেষ। আর এর জের উপকৃত হবে কলকাতার দক্ষিণের বাসিন্দারা। কারণ, তাঁরা অতি সহজে পৌঁছাতে পারবেন বিমানবন্দরে। তবে আপাতত ৫ কিলোমিটার মেট্রো পরিষেবা শুরু হতে চলেছে শীর্ঘই। এখানে বলে রাখা শ্রেয়, বিমানবন্দর পর্যন্ত এই লাইনটি হল কলকাতা মেট্রোর অরেঞ্জ লাইন। অরেঞ্জ লাইনে আপাতত জোকা-তারাতলা পার্পল লাইনের ধাঁচেই পরিষেবা শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। অর্থাৎ এই লাইনে থাকবে এক রেক এক প্লাটফর্ম পরিষেবা।
তবে হাওড়া- শিয়ালদহ- সেক্টর ফাইভ মেট্রো পরিষেবা চালু করার জন্য এখন কর্তৃপক্ষের কাছে চ্যালেঞ্জ বউবাজারের ৮০০ মিটার। এইটুকু লাইন পাততে পারলে এবছরেই ওই লাইনে পরিষেবা শুরু করে দেওয়া সম্ভব বলে জানান মেট্রো রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার অরুণ অরোরা। পাশাপাশি কলকাতা মেট্রোর অধিকর্তা এও জানান, , যদি একান্তই বউবাজারের ৮০০ মিটারের সমস্যার কোনও সমাধান না হয়, তাহলে আংশিকভাবে হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড মেট্রো পরিষেবা এ বছরেই চালু হয়ে যাবে। নাহলে অন্য পরিকল্পনা নেবে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এছাড়া, নর্থ সাউথ মেট্রোতে ১৬ টি রেকে পরীক্ষামূলক ভাবে ওয়াই ফাই চালুর ভাবনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের। শুধু তাই নয়, কিউ আর কোড সহ পেপার টিকিট চালু করা হতে পারে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোতে।