নিজস্ব প্রতিবেদন, জামুড়িয়া: উল্কাপাত! প্রথমে তেমন অনুমান করেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ার ইকরা শিল্পতালুকে। পরে জানা যায়, কোনও উল্কাপাতের ঘটনা এটা নয়। লাগোয়া এলাকায় এক রোলিং মিল কারখানায় আরপিএম মোটরের হুইল খুলে গিয়ে ওই রোলিং মিলের চাল ফুটে জামুড়িয়ার তিন পৃথক স্থানে সেই মোটর ছিটকে পড়ে ঘটে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
এই ঘটনায় ইকরা গ্রাম এলাকার বাউড়িপাড়ার অমর বাদ্যকর নামের এক ব্যক্তির বাড়ির উঠোনে আছড়ে পড়ে সেই যন্ত্রাংশ, এই ঘটনায় তাঁর মেয়ে বছর ১৮র ঝুলন বাদ্যকর গুরুতর ভাবে আহত হন। তাঁর শরীরের কিছু অংশ আঘাতপ্রাপ্ত হয়, পরে দ্রুত তাঁকে স্থানীয় উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এর পাশাপাশি প্রতিবেশী অনিল বাদ্যকরের বাড়ির ছাদে ওই যন্ত্রাংশটি আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ছিটকে পড়ে অমর বাদ্যকরের বাড়ির উঠোনেও ছিটকে পড়ে যন্ত্রাংশের টুকরো।
যদিও প্রথমদিকে এই ঘটনাটি উল্কাপাতের ঘটনা বলে চারিদিকে গুজব রটে যায়, পরে অবশ্য যন্ত্রাংশ ছিটকে পড়ার খবর সামনে আসে। এই মুহূর্তে ঘটনাস্থলে পুলিশের বিশাল বাহিনী ঘিরে রেখেছে এলাকাটিকে। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল ও এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজনকে কী ভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া যায়, তা নিয়েই চলছে এখন জোর আলোচনা। জানা গিয়েছে, ইকরা এলাকাতেই নয়, ইকরার রাজা রামডাঙা ও জাদুডাঙা এলাকাতেও এই কারখানার যন্ত্রাংশ ছিটকে পড়ে, সেখানেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কিছু মানুষজনের বাড়িঘর।
পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সরেজমিনে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। এদিকে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ওই কারখানার সামনেই রাস্তা অবরোধ করে ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় মানুষজন। এই ঘটনার পরপরই বিক্ষুব্ধ মানুষজন ওই কারখানার চত্বরে ঢুকে ব্যাপক ভাবে ক্ষোভ ব্যক্ত করেন। চলে ব্যাপক ভাঙচুর। তারপরই কারখানা ছেড়ে পালিয়ে যান সকলেই, পুলিশের বিশাল বাহিনী মোতায়ন রয়েছে ওই কারখানায়।