মেসির সেই বিখ্যাত চুক্তি নিলামে বিকোল ৮৩২৯৮৮৫০ টাকায় !

তখন মাত্র ১৩ বছর বয়স তাঁর। ছোট সেই কিশোরের ফুটবল খেলা দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন বার্সেলোনা ক্লাবের প্রাক্তন স্পোর্টিং ডিরেক্টর কার্লেস রেক্সাক। তিনি একটি টেনিস ক্লাবে ডেকে পাঠিয়েছিলেন সেই কিশোরকে। তার পর কী হয়েছিল? সারা বিশ্ব জানে। এক কিংবদন্তির জন্ম হয়েছিল সে দিন। সেই কিশোরকে নিতে দেরি করেনি বার্সেলোনা। কিন্তু চুক্তিপত্র তৈরি ছিল না। কী করা যেত? টেবলে থাকা একটা পেপার ন্যাপকিনেই প্রতিশ্রুতিপত্রের মতো লিখে সই করে দিয়েছিলেন কার্লেস। তাতে সই ছিল ক্লাবের ট্রান্সফার অ্যাডভাইসার জোসেপ মিনগুয়েলা ও আর্জেন্টেনিয়ান এজেন্ট হোরাসিও গাগিওলির। ২০০০ সালের ডিসেম্বরে সই করা লিওনেল মেসির সেই ঐতিহাসিক চুক্তিপত্র নিয়ে আর আগেও বহু চর্চা হয়েছে। এতদিন ওই চুক্তিপত্র ছিল বার্সেলোনার মিউজিয়ামে। তাই এ বার উঠল নিলামে। কত টাকায় বিকোল ওই ঐতিহাসিক চুক্তিপত্র?

ফুটবলের দিক থেকে দেখলে মেসির ওই চুক্তিপত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। কোনও ফুটবলারের এ ভাবে উত্থান হতে পারে, এখন আর ভাবাই যাবে না। কিন্তু কেউ কেউ এ ভাবেই আসেন। মেসির মতো। ওই ঐতিহাসিক চুক্তিপত্র নিলামে বিক্রি হল প্রায় ১ মিলিয়ন ডলারে। ভারতীয় টাকায় যা প্রায় ৮ কোটি ৩২ লক্ষ ৯৮ হাজার ৮৫০। বার্সেলোনায় দীর্ঘদিন খেলেছেন মেসি। ৩০টা ট্রফি জিতেছেন। করেছেন ৬৭২ গোল। ২০২২ সালে আবার বিশ্বকাপও জিতেছেন। সব মিলিয়ে মেসির ওই চুক্তিপত্র যে বিশেষ আগ্রহ তৈরি করবে, তা মোটামুটি জানাই ছিল। হলও তাই।

কে কিনেছেন, জানা না গেলেও নিলাম সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, ওটা পেপার ন্যাপকিন হলেও গুরুত্ব অপরিসীম। লিওনেল মেসির ভাগ্য বদলে দিয়েছিল ওই ন্যাপকিন। শুধু তাই নয়, বার্সেলোনারও ভাগ্য বদলে দিয়েছিল। স্বাভাবিক ভাবেই ওই পেপার ন্যাপকিন নিয়ে তুমুল আগ্রহ তৈরি হয়েছিল। কিছু দিন আগেই নিলামে উঠেছিল কাতার বিশ্বকাপে মেসির পরে খেলা ৬টা জার্সি। তাও বিপুল টাকায় কিনেছিলেন এক ধনকুবের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − 17 =