নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: পরিবেশ বাঁচাতে নিজেদের পকেট থেকে খরচ করে প্যান্ডেল বানাচ্ছেন বিগত দু’ বছরের বাঁকুড়া জেলার সেরা পুজো শুশুনিয়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতি। প্লাস্টিক এবং থার্মোকল ব্যবহার করলে খরচ কমিয়ে আনা যেত অনেকটাই। কিন্তু পরিবেশ দূষণ হত বিপুল। পরিবেশকে রক্ষা করার জন্য এবং পরিবেশবান্ধব এক বার্তা দেওয়ার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে কাগজ, ভালো গুণগতমানের মাটি এবং বিভিন্ন জৈব পদার্থ। যার জন্য এক লাফে অনেকটাই বেড়েছে বাজেট।
বাঁকুড়া জেলার শুশুনিয়া পাহাড়ের পাদদেশে রয়েছে শুশুনিয়া গ্রাম। শুশুনিয়া গ্রামের পুজো এক ডাকে বলা চলে গোটা জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় থিমের পুজো। অর্থাৎ গ্রামের পূজোর বড় ধামাকা। বাজেট ছাড়িয়েছে ১০ লক্ষ টাকা। পরিবেশবান্ধব বার্তা ছাড়াও রয়েছে নজরকাড়া থিম। গড্ডালিকার স্রোতে গা না ভাসিয়ে, শিশু কন্যা ভ্রূণ বাঁচানোর থিম বেছে নেওয়া হয়েছে। শুশুনিয়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতির এ বছরের থিম ‘বাঁচিয়ে রেখে শিশুকন্যা, সমাজে আনুন খুশির বন্যা।’ পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা বলেন, ‘হামেশাই খবর পাওয়া যায়, কন্যা ভ্রূণ হত্যার এবং এই চরম অন্যায় বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। মা দুর্গার বন্দনার মধ্যে দিয়ে আমরা ভবিষ্যৎ দুর্গাদের রক্ষা করার বার্তা দিতে চাই।’
২০১৯, ২০২১ এবং ২০২২ সালে বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান পায় শুশুনিয়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতি। প্রতি বছরের মতো এই বছরও এক গঠনমূলক বার্তা দর্শনার্থীদের পৌঁছে দিতে চাইছে পুজো কমিটি। জেলা এবং জেলার বাইরের মানুষ মুখিয়ে রয়েছেন শুশুনিয়ার পুজো দেখার জন্য। এই বছর দুর্গা পূজায় শুশুনিয়ার পাদদেশ হতে চলেছে বাঁকুড়া জেলার এক মুখ্য ডেস্টিনেশন।